০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

‘এমভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধার অভিযানে যেতে পারে ভারতের নৌবাহিনী: মার্কিন বিশ্লেষক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১২৮ বার দেখা হয়েছে

২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজটি গত রোববার মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। সোমবার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এটি। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ। এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম জানান, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে তাদের বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘জলদস্যুরা জাহাজ দখল করে নিয়েছে। আমাদের নাবিকেরা আটকা পড়েছেন।

এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকদের পরিবার-পরিজন বেশ উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশি এই কার্গো ক্যারিয়ারটি উদ্ধারে যেতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মার্টিন কেলি।

ভারতীয় মহাসাগরের যে অঞ্চলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিকে জিম্মি করা হয়েছে সেখানকার আশপাশে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে। আর এ কারণে, দেশটির নৌবাহিনী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধারে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওএস রিস্ক গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মার্টিন কেলি। সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস

কেলি বলেছেন, তার জানা মতে, গত ৩ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে একটি জলদস্যু বিরোধী গোষ্ঠী গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের যে অঞ্চলে এই হামলা সংঘটিত হয়েছে সেই এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে।

আরও পড়ুন: হাইতির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ব্রিটিশ এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় আবদুল্লাহ জাহাজটি উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনীর কোনো একটি জাহাজের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব। এই ঘটনার পর কোনো একটি জাহাজ উদ্ধার করা আসলে কতটা কঠিন তার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি।’

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। নিকেলভর্তি ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়েছিল।

দীর্ঘ চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা। পরে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মুক্তিপণ বাবদ জলদস্যুদের অনেক টাকা দিতে হয়েছিলে বলে জানায় কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

‘এমভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধার অভিযানে যেতে পারে ভারতের নৌবাহিনী: মার্কিন বিশ্লেষক

আপডেট: ১০:৫৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজটি গত রোববার মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। সোমবার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এটি। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ। এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম জানান, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে তাদের বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘জলদস্যুরা জাহাজ দখল করে নিয়েছে। আমাদের নাবিকেরা আটকা পড়েছেন।

এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকদের পরিবার-পরিজন বেশ উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশি এই কার্গো ক্যারিয়ারটি উদ্ধারে যেতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মার্টিন কেলি।

ভারতীয় মহাসাগরের যে অঞ্চলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিকে জিম্মি করা হয়েছে সেখানকার আশপাশে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে। আর এ কারণে, দেশটির নৌবাহিনী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধারে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওএস রিস্ক গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মার্টিন কেলি। সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস

কেলি বলেছেন, তার জানা মতে, গত ৩ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে একটি জলদস্যু বিরোধী গোষ্ঠী গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের যে অঞ্চলে এই হামলা সংঘটিত হয়েছে সেই এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে।

আরও পড়ুন: হাইতির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ব্রিটিশ এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় আবদুল্লাহ জাহাজটি উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনীর কোনো একটি জাহাজের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব। এই ঘটনার পর কোনো একটি জাহাজ উদ্ধার করা আসলে কতটা কঠিন তার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি।’

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। নিকেলভর্তি ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়েছিল।

দীর্ঘ চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা। পরে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মুক্তিপণ বাবদ জলদস্যুদের অনেক টাকা দিতে হয়েছিলে বলে জানায় কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/এসএইচ