এমারেন্ড ওয়েলকে শেয়ার বন্ধক রাখার অনুমতি দিলো বিএসইসি
- আপডেট: ০২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪৭৯১ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কিছু শর্ত সাপেক্ষে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত স্পন্দন ব্র্যান্ডেড ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমারেন্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে উদ্যোক্তা শেয়ার বন্ধক রাখার অনুমতি দিয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সূত্রমতে, কোম্পানিটি চলতি মূলধন মেটানোর জন্য কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ বাধ্যতামূলক হোল্ডিংয়ের বাইরে বাকি ৭.৮১ শতাংশ শেয়ার ঋণের জন্য জামানত হিসাবে বন্ধক রাখার অনুমোদন পেয়েছে।
বিএসইসি কোম্পানিটির বরাবরে এক চিঠিতে বলেছে, মিনোরি বাংলাদেশকে ৩০ শতাংশ শেয়ার মার্জিন হিসাবে বন্ধক রাখার বা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না এবং নতুন-ইস্যু করা শেয়ারগুলি তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে। যা বন্ধক বা লিয়েন রাখা যাবে না।
এমারেল্ড অয়েলের মালিক মিনোরি বাংলাদেশ কোম্পানিটির ৩৮.২৬ শেয়ারের মালিক। শেয়ারগুলির মধ্যে মিনোরি ৭.৮১ শেয়ার বা ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কিনেছিল। বাকি শেয়ার অর্থ জমার বিপরীতে নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মালিক হয়েছিল।
তবে মিনোরি বাংলাদেশ সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কেনা শেয়ার ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে বন্ধক রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করেছে সেন্ট্রাল ফার্মা
মিনোরি বাংলাদেশ- জাপানী কৃষি কোম্পানি মিনোরি কোম্পানি লিমিটেড-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি ২০২১ সালে এমারেল্ড ওয়েল পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
বিএসইসি থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যাওয়া এমারেল্ড ওয়েলকে উৎপাদনে ফেরাতে প্রায় ৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে বিএসইসি এমারল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজকে মিনোরি বাংলাদেশের পক্ষে ৩ কোটি ১৫ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি দেয় এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির বোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার অনুমতি দেয়।
মিনোরি বাংলাদেশ কোম্পানিটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০২২ সালে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়। এরপর ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।
ঢাকা/কেএ