১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

‘কালো টাকা’ বিনিয়োগের সুবিধা রাখায় রিহ্যাবের অভিনন্দন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ৪১৫২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা অব্যাহত রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

রোববার (৬ জুন) রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিনের (কাজল) সই করা এক বিবৃতিতে এ ধন্যবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার মতো ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার সুচিন্তিত সময় উপযোগী বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ, তার লক্ষ্যে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সরকার আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, টাইলস সহ বিভিন্ন কাঁচামালে যে বিশেষ শুল্ক ছাড় দিয়েছে তার জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই। একইসঙ্গে সরকার ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুবিধা অব্যাহত রেখেছে, তা এই খাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে সহায়তা করবে।

অপ্রদর্শিত অর্থের বিষয়ে শামসুল আলামিন বিবৃতিতে বলেন, সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতির মূল স্রোতধারায় এসেছে, যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। যা কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ নীতি অব্যাহত থাকলে আরও বহুগুণ অর্থ, অর্থনীতির মূলধারায় যোগ হবে যা প্রকারান্তে রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট এবং বার্ষিক টার্নওভার কর হার কমানোকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে সমগ্র নির্মাণ খাতে প্রায় ৫০ লাখ জনশক্তি জড়িত। রিয়েল এস্টেট খাতকে ঘিরে গড়ে ওঠা লিংকেজ শিল্প ঘূর্ণায়মান রেখেছে আমাদের অর্থনীতি। প্রতি বছর বিভিন্ন খাত-উপখাত মিলে রিয়েল এস্টেট সেক্টর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জমা হয় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার রাজস্ব। এজন্য এ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

শামসুল আলামিন বলেন, দেশবাসী যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোঁজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায়, সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদী একটি তহবিল গঠন আমাদের প্রাণের দাবি। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই খাতে নিবন্ধন ব্যয় আরও কমানোর সুযোগ রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য দাবি আগামীতে সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করে রিহ্যাব।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

‘কালো টাকা’ বিনিয়োগের সুবিধা রাখায় রিহ্যাবের অভিনন্দন

আপডেট: ০১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা অব্যাহত রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

রোববার (৬ জুন) রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিনের (কাজল) সই করা এক বিবৃতিতে এ ধন্যবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার মতো ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার সুচিন্তিত সময় উপযোগী বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ, তার লক্ষ্যে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সরকার আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, টাইলস সহ বিভিন্ন কাঁচামালে যে বিশেষ শুল্ক ছাড় দিয়েছে তার জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই। একইসঙ্গে সরকার ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুবিধা অব্যাহত রেখেছে, তা এই খাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে সহায়তা করবে।

অপ্রদর্শিত অর্থের বিষয়ে শামসুল আলামিন বিবৃতিতে বলেন, সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতির মূল স্রোতধারায় এসেছে, যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। যা কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ নীতি অব্যাহত থাকলে আরও বহুগুণ অর্থ, অর্থনীতির মূলধারায় যোগ হবে যা প্রকারান্তে রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়ক হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট এবং বার্ষিক টার্নওভার কর হার কমানোকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে সমগ্র নির্মাণ খাতে প্রায় ৫০ লাখ জনশক্তি জড়িত। রিয়েল এস্টেট খাতকে ঘিরে গড়ে ওঠা লিংকেজ শিল্প ঘূর্ণায়মান রেখেছে আমাদের অর্থনীতি। প্রতি বছর বিভিন্ন খাত-উপখাত মিলে রিয়েল এস্টেট সেক্টর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জমা হয় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার রাজস্ব। এজন্য এ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

শামসুল আলামিন বলেন, দেশবাসী যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোঁজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায়, সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদী একটি তহবিল গঠন আমাদের প্রাণের দাবি। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই খাতে নিবন্ধন ব্যয় আরও কমানোর সুযোগ রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য দাবি আগামীতে সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করে রিহ্যাব।

ঢাকা/এসআর