০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪১ বার দেখা হয়েছে

শীতে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনপথ। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অটোচালক জব্বার ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। সকাল ৮টা পার হয়ে গেল এখনও একটা ভাড়া পাইনি। আগে দিনে সাত থেকে আটশ টাকা আয় হতো অটো চালিয়ে। এখন চার থেকে পাঁচশ টাকা আয় হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, একদিকে আয় কম অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইট ভাটার রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরি ভাটায় যাইনি। পানির মতো ঠান্ডা শীত পড়ছে। আর ঘন কুয়াশা বাতাসের কারণে বাসায় বসে আছি। কাজে গেলে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যায়।

দিনাজপুর-পার্বতীপুর রোডের ট্রাক সুমন ইসলাম বলেন, রাত থেকে ঘন কুয়াশা ঢাকা পড়ছে। সড়কে ২০ ফিট দূরত্বের মধ্যে বোঝা যায় না সামনে থেকে গাড়ি আসছে কি না। এজন্য ফুল হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন: শপথবাক্য পাঠ করেছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

আপডেট: ১০:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

শীতে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনপথ। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অটোচালক জব্বার ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। সকাল ৮টা পার হয়ে গেল এখনও একটা ভাড়া পাইনি। আগে দিনে সাত থেকে আটশ টাকা আয় হতো অটো চালিয়ে। এখন চার থেকে পাঁচশ টাকা আয় হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, একদিকে আয় কম অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইট ভাটার রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই দিন ধরি ভাটায় যাইনি। পানির মতো ঠান্ডা শীত পড়ছে। আর ঘন কুয়াশা বাতাসের কারণে বাসায় বসে আছি। কাজে গেলে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যায়।

দিনাজপুর-পার্বতীপুর রোডের ট্রাক সুমন ইসলাম বলেন, রাত থেকে ঘন কুয়াশা ঢাকা পড়ছে। সড়কে ২০ ফিট দূরত্বের মধ্যে বোঝা যায় না সামনে থেকে গাড়ি আসছে কি না। এজন্য ফুল হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন: শপথবাক্য পাঠ করেছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে এই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঢাকা/কেএ