১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঘর মুখো মানুষের চাপ, এক ফেরিতেই ১২০০ যাত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শুক্রবার (০৭ মে) সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারেনি। সকাল ৮টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী কোনো যানবাহন ছাড়াই ১২শ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। 

বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেরিটি শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে পোঁছায়। কোনো যানবাহন ছাড়া শুধু যাত্রী নিয়ে এই প্রথম কোনো ফেরি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার পোঁছাল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।  

জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে অস্বাভাবিক হারে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাট সূত্রে জানা যায়, ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

এই নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরীতে কমপক্ষে ১২শ যাত্রী ছিল। ফেরিটিতে কোনো গাড়ি পার হয়নি। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচে পড়া ভিড়।

বরগুনাগামী যাত্রী রিদয় হাসান বলেন, লঞ্চসহ দূরপাল্লার পরিবহন তো বন্ধ। ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরতে হবে। নদী পথে শুধুমাত্র ফেরি চলছে। প্রচুর ভিড় ছিল ফেরিতে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধির হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

গোপালগঞ্জগামী যাত্রী আব্দুস শুকুর মিয়া বলেন, ফেরি ছাড়া তো আর কোনো নৌযান নেই। এ কারণেই ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। ঈদের আগেই পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সামনে আরও ভিড় বাড়তে পারে।

বরিশালগামী যাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়। বাস চলে না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হবে। তাই কয়েকদিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন থেকে ঈদের পরবর্তী এক থেকে দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত  ঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকবে। শুক্রবার সকালে একটি রোরো ফেরিতে কোনো যানবাহন ছিল না। শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই ফেরিটি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সারাদিনই যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে ঘাটে।

ঢাকা/এনইউ

শেয়ার করুন

x
English Version

ঘর মুখো মানুষের চাপ, এক ফেরিতেই ১২০০ যাত্রী

আপডেট: ০৭:৩৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শুক্রবার (০৭ মে) সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারেনি। সকাল ৮টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী কোনো যানবাহন ছাড়াই ১২শ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। 

বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেরিটি শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে পোঁছায়। কোনো যানবাহন ছাড়া শুধু যাত্রী নিয়ে এই প্রথম কোনো ফেরি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার পোঁছাল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।  

জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে অস্বাভাবিক হারে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাট সূত্রে জানা যায়, ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ রয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

এই নৌরুটে রোরোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরীতে কমপক্ষে ১২শ যাত্রী ছিল। ফেরিটিতে কোনো গাড়ি পার হয়নি। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচে পড়া ভিড়।

বরগুনাগামী যাত্রী রিদয় হাসান বলেন, লঞ্চসহ দূরপাল্লার পরিবহন তো বন্ধ। ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরতে হবে। নদী পথে শুধুমাত্র ফেরি চলছে। প্রচুর ভিড় ছিল ফেরিতে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন আর স্বাস্থ্যবিধির হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

গোপালগঞ্জগামী যাত্রী আব্দুস শুকুর মিয়া বলেন, ফেরি ছাড়া তো আর কোনো নৌযান নেই। এ কারণেই ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। ঈদের আগেই পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সামনে আরও ভিড় বাড়তে পারে।

বরিশালগামী যাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়। বাস চলে না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি যেতে হবে। তাই কয়েকদিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন থেকে ঈদের পরবর্তী এক থেকে দেড় সপ্তাহ পর্যন্ত  ঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকবে। শুক্রবার সকালে একটি রোরো ফেরিতে কোনো যানবাহন ছিল না। শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই ফেরিটি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সারাদিনই যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে ঘাটে।

ঢাকা/এনইউ