০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারাগারে পুলিশের চিঠি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪২১৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনার মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরই মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কারা সদরদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। এমতাবস্থায়, জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে বিশজনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও ৭ থেকে ৮ জনকে।

আরও পড়ুন: সুগন্ধ নয়, ফসলের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া। আসামিরা আনসার আল ইসলামের সদস্য।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

জঙ্গিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারাগারে পুলিশের চিঠি

আপডেট: ০২:১৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগ পুলিশ কমিশনার মাধ্যমে এ চিঠি পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে এরই মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা সদরদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কারা সদরদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানোর নির্দেশনা ছিল। এমতাবস্থায়, জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় জেল কোড অনুযায়ী অবশ্যই ডান্ডাবেড়ি পরানো এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজনভ্যানে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে বিশজনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও ৭ থেকে ৮ জনকে।

আরও পড়ুন: সুগন্ধ নয়, ফসলের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া। আসামিরা আনসার আল ইসলামের সদস্য।

ঢাকা/এসএ