১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

জুলাইয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পণ্য রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম মাস, জুলাইয়ে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে জুলাইয়ের রপ্তানি আয়।

আজ বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বাসস

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে দেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগের বছরের (২০২২-২৩) জুলাইয়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। সেই হিসেবে নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত জুলাইয়ে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১ কোটি ১৯ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বাসসকে বলেন, ‘বছরের শুরুতে এরকম একটা খবর আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক। বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যে এ ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদেরকে কাজ করার প্রতি উৎসাহ যোগাবে।’

আরও পড়ুন: কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ আট ব্যাংক

তিনি মনে করেন রপ্তানি আয় বাড়ার মূল কারণ ইউনিট প্রতি পোশাকের মূল্য বেড়েছে। ক্রয় আদেশ কম হওয়ায় রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ কমে গেছে, কিন্তু উচ্চ মূল্যের কারণে রপ্তানি আায় বেড়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, আমরা এখন উচ্চ মূল্যের পোশাক তৈরি করছি।পণ্যের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। এছাড়া কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব-আমিরাতসহ নতুন নতুন বাজারে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। যা সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় সম্প্রসারণে ভুমিকা রাখছে।

বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যাণ গতকাল প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডব্লিউটিও’র হিসেবে ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার অনেক বেড়েছে। যা সত্যিকার অর্থে আমাদের জন্য অত্যন্ত খশির খবর।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের তুলনায় গতবছর ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০২২ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তবে পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও শুল্ক সংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, মাসটিতে নিট ও ওভেন মিলিয়ে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে ৩৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

আলোচ্য সময়ে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২২৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ওভেন পণ্য রপ্তানি দাঁড়িযেছে ১৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

জুলাই মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ২৫ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ১ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৪ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে;প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

জুলাইয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ

আপডেট: ০৭:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

পণ্য রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম মাস, জুলাইয়ে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে জুলাইয়ের রপ্তানি আয়।

আজ বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বাসস

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে দেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগের বছরের (২০২২-২৩) জুলাইয়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। সেই হিসেবে নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত জুলাইয়ে সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১১ কোটি ১৯ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বাসসকে বলেন, ‘বছরের শুরুতে এরকম একটা খবর আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক। বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যে এ ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদেরকে কাজ করার প্রতি উৎসাহ যোগাবে।’

আরও পড়ুন: কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ আট ব্যাংক

তিনি মনে করেন রপ্তানি আয় বাড়ার মূল কারণ ইউনিট প্রতি পোশাকের মূল্য বেড়েছে। ক্রয় আদেশ কম হওয়ায় রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ কমে গেছে, কিন্তু উচ্চ মূল্যের কারণে রপ্তানি আায় বেড়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, আমরা এখন উচ্চ মূল্যের পোশাক তৈরি করছি।পণ্যের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। এছাড়া কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব-আমিরাতসহ নতুন নতুন বাজারে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। যা সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় সম্প্রসারণে ভুমিকা রাখছে।

বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যাণ গতকাল প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডব্লিউটিও’র হিসেবে ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার অনেক বেড়েছে। যা সত্যিকার অর্থে আমাদের জন্য অত্যন্ত খশির খবর।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের তুলনায় গতবছর ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০২২ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তবে পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও শুল্ক সংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

জুলাইয়ের রপ্তানি তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, মাসটিতে নিট ও ওভেন মিলিয়ে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে ৩৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।

আলোচ্য সময়ে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২২৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ওভেন পণ্য রপ্তানি দাঁড়িযেছে ১৬৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

জুলাই মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭ কোটি ২৫ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ১ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৪ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে;প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ঢাকা/টিএ