০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

জ্বালানি তেল কিনতে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪২১৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

ডলার সংকটের কারণে যখন জ্বালানি তেল আমদানি করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তখন বড় অঙ্কের ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)। এটি ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) একটি সহযোগী সংস্থা।

শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারবে।

ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সহযোগী সংস্থা জেদ্দাভিত্তিক আইটিএফসি থেকে নিয়মিত ঋণ নিয়ে তেল আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ।

আইডিবির সদস্য হিসেবে এ ব্যাংকে মালিকানা আছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশের কাছাকাছি সুদে আইটিএফসি থেকে ঋণ পেয়ে আসছে বিপিসি।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু মঙ্গলবার

আরব নিউজ জানায়, বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের জেদ্দা সফরকালে আইটিএফসির সদর দপ্তরে সম্প্রতি এ নিয়ে চুক্তি সই হয়েছে।

এ চুক্তি উভয় প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের প্রতিফলন, যা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এর আগে সংকটের কারণে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযাযী ডলার দিতে পারছিল না বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে জ্বালানি তেল আমদানির বেশ কিছু বিল যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল আমাদানিকারক সংস্থা বিপিসি। এতে আমদানি বাবদ ৩০ কোটি ডলারের বেশি বিল বকেয়া হয়েছে বলে গত মে মাসে রয়টার্সসহ সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল।

ওই সময় দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না গেলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে বলেও বিপিসির শঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছিল রয়টার্সের প্রতিবেদনে। বলা হয়েছিল, ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানি আগের পরিকল্পনার চেয়ে সরবরাহ কমিয়েও দিয়েছে।

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে এবং প্রধান বিদেশি মুদ্রা ডলারে টান পড়ে। তখন থেকেই শুরু হওয়া সংকট ২০২৩ সালে এসে আরও প্রকট হয়। পরে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়াসহ আরও কিছু উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট ঘাটতি নিয়ে সংকট মোকাবিলা করা হচ্ছে।

ডলার সংকটের ওই সময়ে আইটিএফসির আগের ঋণও যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারায় তা নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় সময় বাড়ানোর দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছিল বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল।

এরপর নতুন করে আগামী এক বছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে অর্থায়নে নতুন করে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে আইডিবির সহযোগী সংস্থা আইটিএফসি।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

জ্বালানি তেল কিনতে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট: ০১:০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

ডলার সংকটের কারণে যখন জ্বালানি তেল আমদানি করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তখন বড় অঙ্কের ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)। এটি ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) একটি সহযোগী সংস্থা।

শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারবে।

ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সহযোগী সংস্থা জেদ্দাভিত্তিক আইটিএফসি থেকে নিয়মিত ঋণ নিয়ে তেল আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ।

আইডিবির সদস্য হিসেবে এ ব্যাংকে মালিকানা আছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশের কাছাকাছি সুদে আইটিএফসি থেকে ঋণ পেয়ে আসছে বিপিসি।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু মঙ্গলবার

আরব নিউজ জানায়, বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের জেদ্দা সফরকালে আইটিএফসির সদর দপ্তরে সম্প্রতি এ নিয়ে চুক্তি সই হয়েছে।

এ চুক্তি উভয় প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের প্রতিফলন, যা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এর আগে সংকটের কারণে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযাযী ডলার দিতে পারছিল না বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে জ্বালানি তেল আমদানির বেশ কিছু বিল যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল আমাদানিকারক সংস্থা বিপিসি। এতে আমদানি বাবদ ৩০ কোটি ডলারের বেশি বিল বকেয়া হয়েছে বলে গত মে মাসে রয়টার্সসহ সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল।

ওই সময় দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না গেলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে বলেও বিপিসির শঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছিল রয়টার্সের প্রতিবেদনে। বলা হয়েছিল, ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানি আগের পরিকল্পনার চেয়ে সরবরাহ কমিয়েও দিয়েছে।

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে এবং প্রধান বিদেশি মুদ্রা ডলারে টান পড়ে। তখন থেকেই শুরু হওয়া সংকট ২০২৩ সালে এসে আরও প্রকট হয়। পরে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়াসহ আরও কিছু উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট ঘাটতি নিয়ে সংকট মোকাবিলা করা হচ্ছে।

ডলার সংকটের ওই সময়ে আইটিএফসির আগের ঋণও যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারায় তা নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় সময় বাড়ানোর দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছিল বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল।

এরপর নতুন করে আগামী এক বছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে অর্থায়নে নতুন করে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে আইডিবির সহযোগী সংস্থা আইটিএফসি।

ঢাকা/টিএ