০২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল শুরু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৯৬ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

রাজধানীর যানজট নিরসনে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ফলে এর মাধ্যমে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ মাত্র ১০ মিনিটে অতিক্রম করছে সাধারণ মানুষ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যদিও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মহানগরের কোনো যাত্রীবাহী বাসকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে অফিসগামী কিছু বাস এবং দুই-একটি বিআরটিসি বাসকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে অফিসগামী ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কিছু কাভার্ডভ্যানকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এর আগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে কাওলা থেকে ফার্মগেটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বিকেল ৪টার দিকে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি।

রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প ২০০৯ সালে হাতে নেওয়া হয়। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটি নির্মাণে চুক্তি সই হয়। কিন্তু জমি বুঝে না পাওয়া এবং নকশা জটিলতায় এর নির্মাণ কাজে কেটে গেছে অনেক সময়। অবশেষে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ।

শুরুতে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বশেষ ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে রাজধানীর যানজট কমাতে প্রকল্পের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছানো যাচ্ছে মাত্র ১০ মিনিটেই। আর পুরো কাজ শেষ হলে ২০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত।

এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে যানবাহনকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, মাইক্রোবাসসহ হালকা গাড়ির জন্য টোল ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের টোল ৩২০ টাকা। ছয় চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা। দুর্ঘটনা রোধে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ছোট ও কম গতির যানবাহন চলাচল করবে না।

সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা/এমএস

শেয়ার করুন

x

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল শুরু

আপডেট: ১১:১১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর যানজট নিরসনে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ফলে এর মাধ্যমে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ মাত্র ১০ মিনিটে অতিক্রম করছে সাধারণ মানুষ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যদিও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মহানগরের কোনো যাত্রীবাহী বাসকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে অফিসগামী কিছু বাস এবং দুই-একটি বিআরটিসি বাসকে চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে অফিসগামী ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কিছু কাভার্ডভ্যানকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এর আগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে কাওলা থেকে ফার্মগেটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বিকেল ৪টার দিকে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি।

রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প ২০০৯ সালে হাতে নেওয়া হয়। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটি নির্মাণে চুক্তি সই হয়। কিন্তু জমি বুঝে না পাওয়া এবং নকশা জটিলতায় এর নির্মাণ কাজে কেটে গেছে অনেক সময়। অবশেষে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ।

শুরুতে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় আট হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সর্বশেষ ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে রাজধানীর যানজট কমাতে প্রকল্পের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছানো যাচ্ছে মাত্র ১০ মিনিটেই। আর পুরো কাজ শেষ হলে ২০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত।

এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে যানবাহনকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, মাইক্রোবাসসহ হালকা গাড়ির জন্য টোল ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের টোল ৩২০ টাকা। ছয় চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা। দুর্ঘটনা রোধে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ছোট ও কম গতির যানবাহন চলাচল করবে না।

সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা/এমএস