১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

দেশবিরোধীদের দেওয়া গুম-খুনের তথ্য সঠিক নয়: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৩১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যমে ভুল ও অসত্য তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের দায়ে দণ্ডিত, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত কোনও বক্তব্য বা প্রতিবেদনই সঠিক হয় না।

আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ‘মুজিববর্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং গ্রন্থটির সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে বাংলাদেশের গুম-খুন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘কোনও বিশেষ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন পাঠানোর পর যদি কোনও রিপোর্ট তৈরি হয়, তবে সেটি হচ্ছে ‘ফর ডিমান্ড’। আমরা দেখেছি, ‘অধিকার’ এবং আরও ক’টি প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সেখানে বিভিন্ন জন ‘কনসার্ন’ ব্যক্ত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতাটা হলো— বাংলাদেশে যারা গুম হয়েছিল বলে ক’দিন আগে একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তারমধ্যে ১০ জন ফেরত এসেছে, আর ২০ জন হত্যাসহ বিভিন্ন দাগি আসামি। তারা অনেকে নিশ্চয় পালিয়ে আছেন। আবার কিছু কিছু গুম হয়েছে তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তালিকার মধ্যে তাদের নামও আছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকার নামের একটি সংগঠন হেফাজতের আন্দোলনের সময় শত শত হেফাজতকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অন্য দেশের ছবি দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আল জাজিরাসহ নানা গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে তারা শত শত থেকে নেমে এসে বলেছিল ৬১ জন। কিন্তু কারও নাম বা পরিচয় দিতে পারেনি। এসব বানোয়াট তথ্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, গ্রেফতারও হয়েছিল। সেই সংগঠনের দেওয়া গুম-খুনের তথ্য-উপাত্তও ত্রুটিপূর্ণ। জাতিসংঘ কোন সূত্র থেকে তথ্য নিচ্ছে— সেটিই হচ্ছে বড় বিষয়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় এবং এরপর সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও তা আইনে রূপান্তর করে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে, খালেদা জিয়ার সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে এবং সেটার জন্য গাঁজাখুরি তদন্ত কমিশন করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে যে ইসরাইলের মোসাদ এই কাজ করেছে। সেই মামলায় তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, অনেকের ফাঁসি হয়েছে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে এগুলো তো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। মানুষের অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এগুলোও প্রতিবেদনে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।’

এসময় বিএনপি’র সমাবেশে বাধা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কেউ বাধা দিক সেটি আমরা কখনও সমর্থন করি না। কিন্তু আপনারা জানেন যে বিএনপি সারাদেশে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে। গতকাল চট্টগ্রামে তারা নিজেরা চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করে নিজেদের সমাবেশে গণ্ডগোল করেছে। ক’দিন আগে মিরপুরে আমাদের একটা মিছিলের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। বনানীর ঘটনা তদন্তাধীন, তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছিল। শান্তিপূর্ণ কোনও সমাবেশে কেউ বাধা দিক সেটি আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি যদি মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করে, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ বা জনগণ কেউই বসে থাকতে পারে না।’

আরও পড়ুন: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে বরখাস্ত

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

দেশবিরোধীদের দেওয়া গুম-খুনের তথ্য সঠিক নয়: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যমে ভুল ও অসত্য তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের দায়ে দণ্ডিত, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত কোনও বক্তব্য বা প্রতিবেদনই সঠিক হয় না।

আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ‘মুজিববর্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং গ্রন্থটির সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে বাংলাদেশের গুম-খুন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘কোনও বিশেষ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন পাঠানোর পর যদি কোনও রিপোর্ট তৈরি হয়, তবে সেটি হচ্ছে ‘ফর ডিমান্ড’। আমরা দেখেছি, ‘অধিকার’ এবং আরও ক’টি প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সেখানে বিভিন্ন জন ‘কনসার্ন’ ব্যক্ত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতাটা হলো— বাংলাদেশে যারা গুম হয়েছিল বলে ক’দিন আগে একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তারমধ্যে ১০ জন ফেরত এসেছে, আর ২০ জন হত্যাসহ বিভিন্ন দাগি আসামি। তারা অনেকে নিশ্চয় পালিয়ে আছেন। আবার কিছু কিছু গুম হয়েছে তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তালিকার মধ্যে তাদের নামও আছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকার নামের একটি সংগঠন হেফাজতের আন্দোলনের সময় শত শত হেফাজতকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অন্য দেশের ছবি দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আল জাজিরাসহ নানা গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছিল। পরে তারা শত শত থেকে নেমে এসে বলেছিল ৬১ জন। কিন্তু কারও নাম বা পরিচয় দিতে পারেনি। এসব বানোয়াট তথ্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, গ্রেফতারও হয়েছিল। সেই সংগঠনের দেওয়া গুম-খুনের তথ্য-উপাত্তও ত্রুটিপূর্ণ। জাতিসংঘ কোন সূত্র থেকে তথ্য নিচ্ছে— সেটিই হচ্ছে বড় বিষয়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় এবং এরপর সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও তা আইনে রূপান্তর করে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে, খালেদা জিয়ার সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছে এবং সেটার জন্য গাঁজাখুরি তদন্ত কমিশন করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে যে ইসরাইলের মোসাদ এই কাজ করেছে। সেই মামলায় তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, অনেকের ফাঁসি হয়েছে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে এগুলো তো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। মানুষের অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এগুলোও প্রতিবেদনে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।’

এসময় বিএনপি’র সমাবেশে বাধা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কেউ বাধা দিক সেটি আমরা কখনও সমর্থন করি না। কিন্তু আপনারা জানেন যে বিএনপি সারাদেশে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে। গতকাল চট্টগ্রামে তারা নিজেরা চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করে নিজেদের সমাবেশে গণ্ডগোল করেছে। ক’দিন আগে মিরপুরে আমাদের একটা মিছিলের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। বনানীর ঘটনা তদন্তাধীন, তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছিল। শান্তিপূর্ণ কোনও সমাবেশে কেউ বাধা দিক সেটি আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি যদি মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করে, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ বা জনগণ কেউই বসে থাকতে পারে না।’

আরও পড়ুন: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে বরখাস্ত

ঢাকা/টিএ