০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে আহত হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট: ০১:৫২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাদশা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাদশা (২৮) গণপিটুনির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

রোববার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গতকাল শনিবার ২৪ জুন ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মায়ের সাথে দেখা করে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন,এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতার বাদশা রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর পলাতক বাদশা গতকাল শনিবার ভোরে তার বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরও পড়ুন: বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ক্রাইসিস তৈরি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ওসি আরও বলেন,মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বেগমগঞ্জ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দুলাল চন্দ্র দাস একই গ্রামের পরেশ চন্দ্রা দাসের ছেলে। এর আগের দিন রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে আহত হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

আপডেট: ০১:৫২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাদশা (২৮) গণপিটুনির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

রোববার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গতকাল শনিবার ২৪ জুন ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মায়ের সাথে দেখা করে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন,এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতার বাদশা রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর পলাতক বাদশা গতকাল শনিবার ভোরে তার বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আরও পড়ুন: বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ক্রাইসিস তৈরি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ওসি আরও বলেন,মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বেগমগঞ্জ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দুলাল চন্দ্র দাস একই গ্রামের পরেশ চন্দ্রা দাসের ছেলে। এর আগের দিন রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।

ঢাকা/এসএ