পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি
- আপডেট: ১০:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪১৫২ বার দেখা হয়েছে
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে শীতের প্রকোপ। কয়েক দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে হিমেল বাতাস যাওয়ার কারণে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আবহাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২০ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
জেলায় সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। চারপাশে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। সকালের পর সূর্যের আলোর দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। ফলে শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই কাজে যেতে পারেন না। জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশির ভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও।
আরও পড়ুন: সার্বক্ষণিক ‘আইবাস’ চালু রাখতে অর্থ সচিবকে ইসির চিঠি
জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না শীতের কারণে।
একই কথা বলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগী করলে আমরা উপকৃত হতাম।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
ঢাকা/এসএম