০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে ভিয়েতনাম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৮৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশকে টপকে গেছে ভিয়েতনাম। গত দশকের প্রায় বেশিরভাগ বছরই ধারাবাহিকভাবে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে ২০২০ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাকের রফতানিকারকের জায়গা করে নিয়েছে ভিয়েতনাম।

ভিয়েতনামের রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রফতানিতে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিয়েতনাম। অন্যদিকে, বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারকের অবস্থান ধরে রেখেছে চীন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ-২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক বাজারে বাংলাদেশের রফতানি আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ থাকলেও ২০২০ সালে তা কমে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

একই সময়ে গত বছর বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে ভিয়েতনামের রফতানি আগের বছরের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত এক দশকের তুলনায় দেখা যায়, ২০১০ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। একই বছর ভিয়েতনামের রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি হ্রাস পেয়েছে ৭ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি কমেছে ১৫ শতাংশ।

গত বছর বাংলাদেশের বার্ষিক তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, ওই বছর ভিয়েতনামের রফতানির পরিমাণ ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার।

তবে বিশ্বে তৈরি পোশাকের রফতানির শীর্ষে  রয়েছে চীন। ২০১৯ সালে বিশ্ব বাজারে চীনের তৈরি পোশাকের রফতানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ থাকলেও গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশে।

পোশাক রফতানির হিসেবে বিশ্ব বাজারে চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর তৃতীয় বৃহত্তম রফতানিকারকের জায়গায় আছে ভিয়েতনাম। পোশাক রফতানির এই তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে আছে বলে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক রফতানির পরিসংখ্যানকে যদি দেশভিত্তিক না ধরা হয়, তাহলে তৈরি পোশাকের বৃহত্তম রফতানিকারকের হিসেবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ তৃতীয়।

অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারতকে পেছনে ফেলে পঞ্চম শীর্ষ রফতানিকারক দেশের স্থানে উঠেছে এসেছে তুরস্ক। এর ফলে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে ভারত। গত বছর ভারতের তৈরি পোশাকের রফতানি কমে গেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে ভিয়েতনাম

আপডেট: ০৭:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশকে টপকে গেছে ভিয়েতনাম। গত দশকের প্রায় বেশিরভাগ বছরই ধারাবাহিকভাবে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে ২০২০ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাকের রফতানিকারকের জায়গা করে নিয়েছে ভিয়েতনাম।

ভিয়েতনামের রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রফতানিতে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিয়েতনাম। অন্যদিকে, বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারকের অবস্থান ধরে রেখেছে চীন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ-২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক বাজারে বাংলাদেশের রফতানি আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ থাকলেও ২০২০ সালে তা কমে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

একই সময়ে গত বছর বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে ভিয়েতনামের রফতানি আগের বছরের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত এক দশকের তুলনায় দেখা যায়, ২০১০ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। একই বছর ভিয়েতনামের রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি হ্রাস পেয়েছে ৭ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি কমেছে ১৫ শতাংশ।

গত বছর বাংলাদেশের বার্ষিক তৈরি পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, ওই বছর ভিয়েতনামের রফতানির পরিমাণ ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার।

তবে বিশ্বে তৈরি পোশাকের রফতানির শীর্ষে  রয়েছে চীন। ২০১৯ সালে বিশ্ব বাজারে চীনের তৈরি পোশাকের রফতানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ থাকলেও গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশে।

পোশাক রফতানির হিসেবে বিশ্ব বাজারে চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর তৃতীয় বৃহত্তম রফতানিকারকের জায়গায় আছে ভিয়েতনাম। পোশাক রফতানির এই তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে আছে বলে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক রফতানির পরিসংখ্যানকে যদি দেশভিত্তিক না ধরা হয়, তাহলে তৈরি পোশাকের বৃহত্তম রফতানিকারকের হিসেবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ তৃতীয়।

অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারতকে পেছনে ফেলে পঞ্চম শীর্ষ রফতানিকারক দেশের স্থানে উঠেছে এসেছে তুরস্ক। এর ফলে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে ভারত। গত বছর ভারতের তৈরি পোশাকের রফতানি কমে গেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: