০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে সাড়ে ৭১ হাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৫৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ঠ অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ ডলার সংকটে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে কমেছে কনটেইনার পরিবহন। সদ্য সমাপ্ত বছরে এ বন্দর দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪টি। যা গত বছর থেকে কমেছে ৭১ হাজার ৪৯৬টি।

ব্যবসায়ীদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থমকে পড়েছে সারাবিশ্বের অর্থনীতি। দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিলাসজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরকার নানা শর্তা আরোপ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবার দেশে তৈরি পোশাকের অন্যতম বাজার ইউরোপ-আমেরিকা। তাছাড়া রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যেও বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বর্তমানে ওইসব দেশ অর্ডার কমিয়ে দিয়েছে। অর্ডার কম হওয়ার কারণে দেশের পোশাক কারখানায় উৎপাদন কমেছে। উৎপাদন কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের পর সংকট কাটিয়ে ওঠা বন্দর আবার হোঁচট খেয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪টি। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৩২ লাখ ১৪ হাজার। সদ্য বিদায়ী বছরে এ বন্দর কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮২ টন। ২০২১ সালে করা হয়েছিল ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫৮ টন।

২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ এসেছে চার হাজার ৩৬১টি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা ছিল চার হাজার ২০৯টি।

আরও পড়ুন: রপ্তানি সহায়ক ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, যুদ্ধের কারণে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে। আশা করি, সংকট কেটে যাবে। বন্দরে গতি ফিরে আসবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির ৯২ শতাংশেরও বেশি পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কনটেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করে। বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত হাজার কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। আর রাজস্ব আদায় হয় দৈনিক হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে সাড়ে ৭১ হাজার

আপডেট: ১২:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ঠ অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ ডলার সংকটে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে কমেছে কনটেইনার পরিবহন। সদ্য সমাপ্ত বছরে এ বন্দর দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪টি। যা গত বছর থেকে কমেছে ৭১ হাজার ৪৯৬টি।

ব্যবসায়ীদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থমকে পড়েছে সারাবিশ্বের অর্থনীতি। দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিলাসজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরকার নানা শর্তা আরোপ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবার দেশে তৈরি পোশাকের অন্যতম বাজার ইউরোপ-আমেরিকা। তাছাড়া রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যেও বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তবে বর্তমানে ওইসব দেশ অর্ডার কমিয়ে দিয়েছে। অর্ডার কম হওয়ার কারণে দেশের পোশাক কারখানায় উৎপাদন কমেছে। উৎপাদন কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানিও কমেছে। সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের পর সংকট কাটিয়ে ওঠা বন্দর আবার হোঁচট খেয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪টি। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৩২ লাখ ১৪ হাজার। সদ্য বিদায়ী বছরে এ বন্দর কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮২ টন। ২০২১ সালে করা হয়েছিল ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫৮ টন।

২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ এসেছে চার হাজার ৩৬১টি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা ছিল চার হাজার ২০৯টি।

আরও পড়ুন: রপ্তানি সহায়ক ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, যুদ্ধের কারণে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কম হয়েছে। আশা করি, সংকট কেটে যাবে। বন্দরে গতি ফিরে আসবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির ৯২ শতাংশেরও বেশি পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কনটেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করে। বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত হাজার কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। আর রাজস্ব আদায় হয় দৈনিক হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএ