১০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (০৬-১০ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে সূচক কমলেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন শুরুর আগে প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৮ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৬ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৬২ লাখ ২৫ হাজার ৯৬১ টাকা বা দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৩ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বা ৬.৩৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা  দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন: ২৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা  দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ২ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে নেমেছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৬.০৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১২৯টির। আর ২২৩টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

আরও পড়ুন: ২৮ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ০০৪ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ৯২১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪১ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৭ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮২.০৫ পয়েন্ট বা ০.৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৬৩.০৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১০.১০ পয়েন্ট বা ০.৯৬ শতাংশ, ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৬৫ পয়েন্ট বা ০.১৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৩.৯৮ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৪.৪৪ পয়েন্ট বা ২.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ২৪৪.৬০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪২.৫৭ পয়েন্টে, এক হাজার ৩৩৯.৬৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৯১.৭৫ পয়েন্টে। পয়েন্টে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ব্লকে ১১ কোম্পানির বিশাল লেনদেন

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৫টির বা ১১.১৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ১১৩টির বা ৩৬.১০ শতাংশের কমেছে এবং ১৬৫টির বা ৫২.৭২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০২:০৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (০৬-১০ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে সূচক কমলেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন শুরুর আগে প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৮ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৬ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৬২ লাখ ২৫ হাজার ৯৬১ টাকা বা দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৩ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩৪৯ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার টাকার বা ৬.৩৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা  দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আরও পড়ুন: ২৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৭ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা  দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ২ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে নেমেছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৬.০৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১২৯টির। আর ২২৩টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

আরও পড়ুন: ২৮ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ০০৪ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ৯২১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪১ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৭ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮২.০৫ পয়েন্ট বা ০.৯৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৬৩.০৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১১০.১০ পয়েন্ট বা ০.৯৬ শতাংশ, ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৬৫ পয়েন্ট বা ০.১৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৩.৯৮ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৪.৪৪ পয়েন্ট বা ২.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ২৪৪.৬০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪২.৫৭ পয়েন্টে, এক হাজার ৩৩৯.৬৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৯১.৭৫ পয়েন্টে। পয়েন্টে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ব্লকে ১১ কোম্পানির বিশাল লেনদেন

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৫টির বা ১১.১৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ১১৩টির বা ৩৬.১০ শতাংশের কমেছে এবং ১৬৫টির বা ৫২.৭২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ