১০:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

বাজেটে ডিভিডেন্ড আয়ে উৎস কর প্রত্যাহার চায় সিএসই

এইচ কে জনি:
  • আপডেট: ০৫:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩০৩ বার দেখা হয়েছে

বাজেটে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর উৎস কর প্রত্যাহার চায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এছাড়াও ব্যক্তিশ্রেনীর করদাতাদের কর বহির্ভূত ডিভিডেন্ড আয় সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ রোববার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্যে আয়োজিত বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে লিখিত আকারে ১১টি প্রস্তাব জানিয়েছে সিএসই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ডিভিডেন্ড আয়ে বিদ্যমান উৎস কর প্রত্যাহার করা যেতে পারে। কারণ ডিভিডেন্ড প্রদানকারী কোম্পানি তার মুনাফার ওপর কর প্রদান করে থাকে। তাই ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় পুনরায় কর প্রদান দ্বৈত করের (Double Taxation) সৃষ্টি করে।

কাজেই ডিভিডেন্ড আয়ে উৎস কর পরিহার করা হলে আরও বেশি ডিভিডেন্ড আকারে বিতরণের (higher pay out) সুযোগ সৃষ্টি হবে।  এছাড়া এক স্তর বা (Single Tire) কর কাঠামোর ফলে কর আদায় প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে।

১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ৫৪ ও ৫৬ অনুযায়ী বর্তমানে কোম্পানিকে ২০ শতাংশ, নিবাসী ব্যাক্তি (টিআইএনধারী হলে) ১০ শতাংশ, নিবাসী ব্যাক্তি (টিআইএনধারী না হলে) ১৫ শতাংশ এবং অনিবাসী ব্যাক্তিদের ৩০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হয়।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বন্ধে কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী

এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে ব্যাক্তিশ্রেনীর করমুক্ত ডিভিডেন্ড সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড হতে প্রাপ্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছে সিএসই।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাক্তিশ্রেনীর ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রদত্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ৫০ হাজার টাকা এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড হতে প্রাপ্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা  ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ডিভিডেন্ডের ওপর করমুক্ত আয় সীমা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে সিএসই।

সিএসই’র অন্য প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া, বন্ড থেকে উদ্ভূত আয়কে কর অব্যাহতি প্রদান, এসএসই কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন করহার নির্ধারণ, করপোরেট করহারের পূনর্বিন্যাস, একক লেনদেন ও নির্ধারিত নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগসীমা পুন:নির্ধারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ওপর বিদ্যমান আয়কর পুন:নির্ধারণ, ব্যাক্তিশ্রেনীর করদাতাদের করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানো, বন্ডে লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার, পরামর্শ বা কনসালটেন্সি সেবা ও কারিগরি সেবা, সফটওয়্যারের ওপর উৎস কর কর্তন ও মূল্য সংযোজন কর প্রদান এবং এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কর সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।

ঢাকা/এইচকে

 

শেয়ার করুন

x

বাজেটে ডিভিডেন্ড আয়ে উৎস কর প্রত্যাহার চায় সিএসই

আপডেট: ০৫:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাজেটে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর উৎস কর প্রত্যাহার চায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এছাড়াও ব্যক্তিশ্রেনীর করদাতাদের কর বহির্ভূত ডিভিডেন্ড আয় সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ রোববার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্যে আয়োজিত বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে লিখিত আকারে ১১টি প্রস্তাব জানিয়েছে সিএসই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ডিভিডেন্ড আয়ে বিদ্যমান উৎস কর প্রত্যাহার করা যেতে পারে। কারণ ডিভিডেন্ড প্রদানকারী কোম্পানি তার মুনাফার ওপর কর প্রদান করে থাকে। তাই ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় পুনরায় কর প্রদান দ্বৈত করের (Double Taxation) সৃষ্টি করে।

কাজেই ডিভিডেন্ড আয়ে উৎস কর পরিহার করা হলে আরও বেশি ডিভিডেন্ড আকারে বিতরণের (higher pay out) সুযোগ সৃষ্টি হবে।  এছাড়া এক স্তর বা (Single Tire) কর কাঠামোর ফলে কর আদায় প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে।

১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ৫৪ ও ৫৬ অনুযায়ী বর্তমানে কোম্পানিকে ২০ শতাংশ, নিবাসী ব্যাক্তি (টিআইএনধারী হলে) ১০ শতাংশ, নিবাসী ব্যাক্তি (টিআইএনধারী না হলে) ১৫ শতাংশ এবং অনিবাসী ব্যাক্তিদের ৩০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হয়।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বন্ধে কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী

এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে ব্যাক্তিশ্রেনীর করমুক্ত ডিভিডেন্ড সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড হতে প্রাপ্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছে সিএসই।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাক্তিশ্রেনীর ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রদত্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ৫০ হাজার টাকা এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড হতে প্রাপ্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা  ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ডিভিডেন্ডের ওপর করমুক্ত আয় সীমা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে সিএসই।

সিএসই’র অন্য প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া, বন্ড থেকে উদ্ভূত আয়কে কর অব্যাহতি প্রদান, এসএসই কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন করহার নির্ধারণ, করপোরেট করহারের পূনর্বিন্যাস, একক লেনদেন ও নির্ধারিত নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগসীমা পুন:নির্ধারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ওপর বিদ্যমান আয়কর পুন:নির্ধারণ, ব্যাক্তিশ্রেনীর করদাতাদের করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানো, বন্ডে লেনদেনের ওপর কর প্রত্যাহার, পরামর্শ বা কনসালটেন্সি সেবা ও কারিগরি সেবা, সফটওয়্যারের ওপর উৎস কর কর্তন ও মূল্য সংযোজন কর প্রদান এবং এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কর সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।

ঢাকা/এইচকে