০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক: ওবায়দুল কাদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১৭৩ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। আওয়ামী লীগ বিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তিই এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরিচর্যা করে আসছে। যার গোড়াপত্তন হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই নিজেদেরকে জনগণের আয়নায় দেখতে প্রস্তুত নয়। এজন্য তারা সর্বদা জনমত যাচাইয়ের গণতান্ত্রিক পন্থা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। নির্বাচন আতঙ্ক থেকে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চিরাচরিত ভঙ্গিতে মিথ্যাচার করছে।

বিভিন্ন সময় বিএনপির প্রহসন ও একতরফা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এখন বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিই আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি এরকম রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিএনপির ক্ষেত্রেই মানায়। আগামীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই বোঝা যাবে কাদের জামানত থাকবে আর কাদের থাকবে না। বিএনপির প্রতি আহ্বান থাকবে, নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি, বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা সুপরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে তারা সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের জন্য বাস অযোগ্য করে তোলার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন: রমজানে বাজার তদারকি করবে পুলিশ

এ প্রসঙ্গে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য ও বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতাদর্শ থেকে এবং দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূ-লুণ্ঠিত করার জন্যই বিএনপি নীতিগতভাবে সাম্প্রদায়িকতার পথকে বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নির্বাচনের আগে বিএনপি সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করে। রাজনীতিতে বিভেদের এই খেলা বিএনপিকে আর খেলতে দেওয়া হবে না। সব অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক: ওবায়দুল কাদের

আপডেট: ০৭:১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। আওয়ামী লীগ বিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তিই এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরিচর্যা করে আসছে। যার গোড়াপত্তন হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বিএনপিই এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই নিজেদেরকে জনগণের আয়নায় দেখতে প্রস্তুত নয়। এজন্য তারা সর্বদা জনমত যাচাইয়ের গণতান্ত্রিক পন্থা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। নির্বাচন আতঙ্ক থেকে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য চিরাচরিত ভঙ্গিতে মিথ্যাচার করছে।

বিভিন্ন সময় বিএনপির প্রহসন ও একতরফা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এখন বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিই আসন পেয়েছিল মাত্র ২৯টি। জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি এরকম রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিএনপির ক্ষেত্রেই মানায়। আগামীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই বোঝা যাবে কাদের জামানত থাকবে আর কাদের থাকবে না। বিএনপির প্রতি আহ্বান থাকবে, নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি, বিএনপি ও তার দোসররা সর্বদা সুপরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে তারা সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের জন্য বাস অযোগ্য করে তোলার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন: রমজানে বাজার তদারকি করবে পুলিশ

এ প্রসঙ্গে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অকথ্য ও বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতাদর্শ থেকে এবং দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূ-লুণ্ঠিত করার জন্যই বিএনপি নীতিগতভাবে সাম্প্রদায়িকতার পথকে বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নির্বাচনের আগে বিএনপি সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করে। রাজনীতিতে বিভেদের এই খেলা বিএনপিকে আর খেলতে দেওয়া হবে না। সব অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা/এসএ