ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারপারসন হলেন ফারুক মঈনউদ্দীন
- আপডেট: ০৬:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
- / ৪২০৩ বার দেখা হয়েছে
বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দীন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের বোর্ডে যোগদান করেন তিনি এবং বোর্ড এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
আজ শনিবার ( ৮ জুলাই ) ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
ফারুক মঈনউদ্দীন ৩৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন ম্যানেজমেন্টের সদস্য হিসেবে বহুমুখী দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ট্রাস্ট ব্যাংকে যোগদানের আগে ফারুক মঈনউদ্দীন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের একাধারে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, চিফ রিস্ক অফিসার এবং মানি-লন্ডারিং বিরোধী প্রধান পরিপালন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে পাঁচ বছর এবি ব্যাংকের মুম্বাই অফিসে কান্ট্রি ম্যানেজার পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিবছর শিল্প খাতের ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশিরা নিচ্ছে: ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস সম্পন্ন করার পর ১৯৮৪ সালে এবি ব্যাংক লিমিটেডে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফারুক মঈনউদ্দীন। ১৯৮৭ সালে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণপদক এবং বিসিসিআই (তৎকালীন) স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এছাড়াও, তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যান্টি মানি-লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার্স অব ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ (এএসিওবিবি)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
ব্যক্তিগত জীবনে ফারুক মঈনউদ্দীন একজন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক। ব্যাংকিং, অর্থনীতি, ছোটগল্প, অনুবাদ এবং ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তাঁর রচিত ও প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই ডজনেরও বেশি। অর্থনীতি ও ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সংবাদপত্রেও নিয়মিত নিবন্ধ লেখেন। বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, অনুবাদকর্ম অনন্য অবদানের জন্য ২০১১ সালে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার এবং ভ্রমণকাহিনীর জন্য ২০১৯ সালে সিটি-আনন্দ আলো পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবেও কর্মরত আছেন।
ঢাকা/টিএ