০১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

রাস্তা-ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২৩০ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ঈদের আগে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে দোকানিরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন।সেই সঙ্গে তাদের মনে আরেক শঙ্কা ভর করেছে। তা হলো পুড়ে যাওয়া দোকানের জায়গায় তারা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে। এরইমধ্যে অনেক দোকানি ও ব্যবসায়ী রাস্তা-ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এমন ব্যবসায়ীদের অনেকেই আতঙ্কে আছেন, কারণ আগে বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগার পর এমন দেখা গেছে যে- যারা প্রকৃত দোকানি, তারা আর দোকান ফেরত পাননি। অন্য কেউ তা দখল করে নিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যবসায়ীরা জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে কীভাবে দ্রুত ব্যবসা শুরু করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। তারা দ্রুত পুনর্বাসন চান। ব্যবসায়ী নেতারাও তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত। আর অনেক ছোট ব্যাবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে নিজেদের ক্ষতচিহ্নের দাগ নিয়েই ফুটপাতে কাপড়ের দোকান বসিয়েছেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে, ফ্লাইওভারের নিচে শতাধিক ব্যবসায়ী কাঠের চকিতে দোকান নিয়ে বসেছেন।

আগুনের গ্রাস থেকে যেসব কাপড় বাঁচাতে পেরেছিলেন সেগুলো নিয়েই বসেছেন অনেকে। দোকানগুলো ঘিরে জনসমাগম হলেও এখনও বিক্রি জমে ওঠেনি। সব ব্যবসায়ীর চোখে মুখে কষ্টের ছাপ।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেটুকু মালপত্র বাঁচাতে পেরেছে তা নিয়ে বসেছেন তারা। ঈদের আগে কিছু বেচাবিক্রি হলে কর্মচারীদের বেতন কিছুটা দিতে পারবে বা নিজেদেরও কিছুটা সহায়তা হবে।

ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, বঙ্গ মার্কেটে দুটি দোকান ছিল আমার। দুটো দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছু মালামাল সরাতে পেরেছিলাম। তাই নিয়ে এসেছি। বিক্রি নাই বললেই চলে। কারণ আমাদের রেগুলার কাস্টমাররা তো দোকানের ঠিকানা জানেন না। এবার ঈদ যে কীভাবে করবো একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

বঙ্গবাজারের গুলিস্থান মার্কেটে জিন্সের প্যান্ট ও শার্টের দোকান ছিল সাইফুল ইসলামের। দোকান পুড়ে এখন তারও ঠিকানা ফুটপাত। সাইফুল জানান, বাসায় খাবারের টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে: আবুল কালাম আজাদ

কথা হয় ব্যবসায়ী শাহিন আলমের সঙ্গে। গেঞ্জি, পাজামা, ট্রাউজার নিয়ে বসেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের আদর্শ মার্কেটে একটি দোকান ছিল আমার। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনও মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি। নতুন করে কিছু মাল কিনে আজকে দোকান নিয়ে বসেছি। এখনও জানাজানি হয়নি। সে কারণে বেচা বিক্রিও কম।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে বঙ্গ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও এনেক্সকো টাওয়ার। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

রাস্তা-ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা

আপডেট: ০২:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ঈদের আগে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে দোকানিরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন।সেই সঙ্গে তাদের মনে আরেক শঙ্কা ভর করেছে। তা হলো পুড়ে যাওয়া দোকানের জায়গায় তারা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে। এরইমধ্যে অনেক দোকানি ও ব্যবসায়ী রাস্তা-ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এমন ব্যবসায়ীদের অনেকেই আতঙ্কে আছেন, কারণ আগে বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগার পর এমন দেখা গেছে যে- যারা প্রকৃত দোকানি, তারা আর দোকান ফেরত পাননি। অন্য কেউ তা দখল করে নিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যবসায়ীরা জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে কীভাবে দ্রুত ব্যবসা শুরু করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। তারা দ্রুত পুনর্বাসন চান। ব্যবসায়ী নেতারাও তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত। আর অনেক ছোট ব্যাবসায়ী ঈদকে সামনে রেখে নিজেদের ক্ষতচিহ্নের দাগ নিয়েই ফুটপাতে কাপড়ের দোকান বসিয়েছেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে, ফ্লাইওভারের নিচে শতাধিক ব্যবসায়ী কাঠের চকিতে দোকান নিয়ে বসেছেন।

আগুনের গ্রাস থেকে যেসব কাপড় বাঁচাতে পেরেছিলেন সেগুলো নিয়েই বসেছেন অনেকে। দোকানগুলো ঘিরে জনসমাগম হলেও এখনও বিক্রি জমে ওঠেনি। সব ব্যবসায়ীর চোখে মুখে কষ্টের ছাপ।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেটুকু মালপত্র বাঁচাতে পেরেছে তা নিয়ে বসেছেন তারা। ঈদের আগে কিছু বেচাবিক্রি হলে কর্মচারীদের বেতন কিছুটা দিতে পারবে বা নিজেদেরও কিছুটা সহায়তা হবে।

ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, বঙ্গ মার্কেটে দুটি দোকান ছিল আমার। দুটো দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছু মালামাল সরাতে পেরেছিলাম। তাই নিয়ে এসেছি। বিক্রি নাই বললেই চলে। কারণ আমাদের রেগুলার কাস্টমাররা তো দোকানের ঠিকানা জানেন না। এবার ঈদ যে কীভাবে করবো একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

বঙ্গবাজারের গুলিস্থান মার্কেটে জিন্সের প্যান্ট ও শার্টের দোকান ছিল সাইফুল ইসলামের। দোকান পুড়ে এখন তারও ঠিকানা ফুটপাত। সাইফুল জানান, বাসায় খাবারের টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে: আবুল কালাম আজাদ

কথা হয় ব্যবসায়ী শাহিন আলমের সঙ্গে। গেঞ্জি, পাজামা, ট্রাউজার নিয়ে বসেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের আদর্শ মার্কেটে একটি দোকান ছিল আমার। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনও মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি। নতুন করে কিছু মাল কিনে আজকে দোকান নিয়ে বসেছি। এখনও জানাজানি হয়নি। সে কারণে বেচা বিক্রিও কম।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে বঙ্গ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও এনেক্সকো টাওয়ার। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঢাকা/এসএম