০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১১০ বার দেখা হয়েছে

দেশের উত্তরঞ্চলে তৃতীয় দফায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও রাভভর ঝরছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা আবারও ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এতে করে টানা শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের এই প্রান্তিক জনপদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তার মধ্যে ৩ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪, ৫ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪, ৬ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৭, ৭ জানুয়ারি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে প্রথম দফায় মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়েছে। দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডে।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে গতকালও দেখা মিলেনি সূর্য। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি এ জনপদের সব বয়সী মানুষজন শীত দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: আজও ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষিরা। তীব্র শীতের কারণে ক্ষেতের আলুতে ছত্রাকের আক্রমণ বেড়েছে। পাতা কুকড়ে যাচ্ছে। অতি মাত্রায় শীতের কারণে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর্লি ব্লাইট দেখা দেওয়ায় ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে ২-১ দিন অন্তর অন্তর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মত কাজে বের হতে পারছে না। গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন

আপডেট: ১০:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

দেশের উত্তরঞ্চলে তৃতীয় দফায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও রাভভর ঝরছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা আবারও ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এতে করে টানা শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের এই প্রান্তিক জনপদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তার মধ্যে ৩ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪, ৫ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪, ৬ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৭, ৭ জানুয়ারি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে প্রথম দফায় মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়েছে। দ্বিতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডে।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে গতকালও দেখা মিলেনি সূর্য। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি এ জনপদের সব বয়সী মানুষজন শীত দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: আজও ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষিরা। তীব্র শীতের কারণে ক্ষেতের আলুতে ছত্রাকের আক্রমণ বেড়েছে। পাতা কুকড়ে যাচ্ছে। অতি মাত্রায় শীতের কারণে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর্লি ব্লাইট দেখা দেওয়ায় ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে ২-১ দিন অন্তর অন্তর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মত কাজে বের হতে পারছে না। গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।

ঢাকা/কেএ