০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সিএমএসএফ ফান্ডের আকার ১২৭০ কোটি টাকা: নজিবুর রহমান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৯৫ বার দেখা হয়েছে

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) আকার ১২৭০ কোটি টাকা দাঁড়িয়ে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল তহবিলে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত ও দাবিহীন ৭১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ৫৬০ কোটি টাকা নগদ জমা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সিএমজেএফ টকে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ১২৭০ কোটি টাকার মধ্যে ১১০০শর বেশি বিনিয়োগকারীদের গ্রাহকের টাকা ও বোনাস শেয়ার পরিশোধ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলকরণ ও বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ফান্ডটি গঠিত হয়। এ ফান্ড থেকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার জন্য ২৭৫ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইবিসি) দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে সব কোম্পানিকে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত লভ্যাংশ ফান্ডে জমা দিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা দিয়েছিল এবং আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি কোম্পানিকে অডিট করব। এটা বিএসইসির বিশেষ পদক্ষেপ।

তিনি আরও বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে যদি অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে দেয় কোনো সমস্যা হবে না। ৩০ জুনের পরে গেলে তাদের ২ শতাংশ দশমিক ৫ শতাংশ করে সার্চ চার্জ প্রযোজ্য হবে। এ সার্চ চার্জসহ অবণ্টিত লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। আমরা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি।

সিএমএসএফের অর্থ আইসিবি-তে এফডিআর করার কারণ কি? জানতে চাইলে নজিবুর রহমান বলেন, আইসিবির সঙ্গে সম্পর্ক আমাদের জন্মের আগে থেকেই। বিএসইসি যখন এ ধারণাটা (সিএমএসএফ) নিয়ে এগুচ্ছিল এবং যখন রুলস তৈরি হচ্ছিল, তখন তাৎক্ষণিকভাবে বেশকিছু কোম্পানি সাড়া দেয়। তারা তাদের ফেরতযোগ্য শেয়ার আইসিবির বিও হিসাবে জমা দেয়।

আইসিবিকে আমরা যে টাকাটা দিচ্ছি, একটা এফডিআর ফরমেটে দিচ্ছি। এফডিআর-এর জন্য যে ইন্টারেস্ট, আইসিবি সেটা দেবে। আমাদের বোর্ড মনে করে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তহবিল সুরক্ষা করা। সে জন্য আমরা ঝুঁকি নির্ণয় না করে সরাসরি ক্যাপিটাল মার্কেটে যাওয়াটাকে ঠিক মনে করিনি- বলেন সিএমএসএফ চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমরা যখন গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করলাম, তখন ব্যক্তি খাতের বেশি কিছু অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ করতে চেয়েছিল। আমার সবাই মিলে চেয়েছিলাম আইসিবিই হোক প্রথম উদ্যোগের পার্টনারশিপ। এ কারণে আমরা আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেই।

সিএমএসএফ থেকে কতজন বিনিয়োগকারীকে দাবি করা লভ্যাংশের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে? এমন আর এক প্রশ্নের উত্তরে নজিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রায় ১ হাজার ১৭০ জন বিনিয়োগকারীকে সেবা (লভ্যাংশের অর্থ ফেরত দেওয়া) দিতে পেরেছি। এর মধ্যে নগদ ক্লেমই বেশি। প্রায় ৭৫৫ জন। বোনাস শেয়ারের ক্লেইম আছে ৩৯১ জনের মতো। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সবাই যে টাকা নেওয়া বা শেয়ার নিতে চায় তা নয়। তাদের যে প্রতিক্রিয়া রয়েছে, আমরা এটাকে তাদের আস্থা হিসেবে দেখছি। তারা মনে করছেন, তাদের টাকা বা শেয়ার এ তহবিলে সুরক্ষিত থাকবে।

ব্যাংক কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক আপত্তি তুলেছিল। বিষয়টি এখন কি পর্যায়ে আছে? সাংবাদিকদের এমন আর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ মুখ্য সচিব বলেন, আমি সচিব মহোদয়কে চিঠি দিয়েছিলাম, আপনার মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে। তাদের কাছে সিএমএসএফ-এর এ টাকাগুলো বা শেয়ারগুলো আছে ফেরত দেন। তার পরেই তারা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দেন। কোম্পানিগুলো সরাসরি এসে প্রত্যেকেই সেই শেয়ার ও টাকা ফেরত দেন।

তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে- সিএমএসএফ-এর রুলস ও নিয়মানুযায়ী তাদের হাতে শেয়ার এবং ক্যাশ দেন। রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবিকে তারা নির্দেশ দেন। এটা হচ্ছে সিএমএসএফ-এর কার্যকারিতা এবং বাস্তবতার প্রতি সরকারের সমর্থন।

আরও পড়ুন: সূচকের পতনে লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি টাকা

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা অবস্থান নিয়েছিল, এটা আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশ ব্যাংক মানিমার্কেটের রেগুলেটর এবং বিএসইসি ক্যাপিটাল মার্কেটের রেগুলেটর। তারা এ বিষয়ে নিরন্তন আলাপ-আলোচনা করছেন। আমার ধারণা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কনসার্ন (সচেতন) ছিল যেন আমানতকারীদের কোনো ফান্ড এদিকে না আসে এবং বিএসইসির কনসার্ন ছিল বিনিয়োগকারীদের কোনো ফান্ড যাতে ঝুলন্ত অবস্থায় না থাকে। বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি হচ্ছে।

নজিবুর রহমান বলেন, সিএমএসএফ-এর বর্তমান যে আইনি কাঠামো আছে, তার আলোকে আমরা কাজ করছি। সেই কাজ করতে গিয়ে কেউ বাধা দিচ্ছেন না। সবাই বলছেন- এ ফান্ডটা খুবই দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির মধ্যে নিয়মিতভাবে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, পুরো পুঁজিবাজারের মঙ্গলের জন্য। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর তার যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তার দ্বারা আমরা অনুপ্রাণিত হচ্ছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু হবে।

দেশের পুঁজিবাজারে এক যুগের বেশি সময় ধরে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এমন বাজারে সিএমএসএফ-এর উদ্যোগে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে আসার উদ্দেশ্য কি এবং সেই উদ্দেশ্য কতোটা সফল হয়েছে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যা থাকবে, হতাশ হবেন না। আগামী দিনের সম্ভাবনার জন্য কাজ করতে হবে। সবদিক বিবেচনায় আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটে অনেক সম্ভাবনা আছে। বিএসইসি চাচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পুঁজিবাজার গড়ে তোলার জন্য। এ জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তারা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। নতুন নতুন পণ্য তারা নিয়ে আসছেন। তার সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড জনপ্রিয় করার একটা বিষয় আছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সিএমএসএফ ফান্ডের আকার ১২৭০ কোটি টাকা: নজিবুর রহমান

আপডেট: ০৫:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) আকার ১২৭০ কোটি টাকা দাঁড়িয়ে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল তহবিলে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত ও দাবিহীন ৭১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ৫৬০ কোটি টাকা নগদ জমা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সিএমজেএফ টকে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ১২৭০ কোটি টাকার মধ্যে ১১০০শর বেশি বিনিয়োগকারীদের গ্রাহকের টাকা ও বোনাস শেয়ার পরিশোধ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলকরণ ও বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ফান্ডটি গঠিত হয়। এ ফান্ড থেকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার জন্য ২৭৫ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইবিসি) দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে সব কোম্পানিকে বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত লভ্যাংশ ফান্ডে জমা দিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা দিয়েছিল এবং আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি কোম্পানিকে অডিট করব। এটা বিএসইসির বিশেষ পদক্ষেপ।

তিনি আরও বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে যদি অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে দেয় কোনো সমস্যা হবে না। ৩০ জুনের পরে গেলে তাদের ২ শতাংশ দশমিক ৫ শতাংশ করে সার্চ চার্জ প্রযোজ্য হবে। এ সার্চ চার্জসহ অবণ্টিত লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। আমরা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি।

সিএমএসএফের অর্থ আইসিবি-তে এফডিআর করার কারণ কি? জানতে চাইলে নজিবুর রহমান বলেন, আইসিবির সঙ্গে সম্পর্ক আমাদের জন্মের আগে থেকেই। বিএসইসি যখন এ ধারণাটা (সিএমএসএফ) নিয়ে এগুচ্ছিল এবং যখন রুলস তৈরি হচ্ছিল, তখন তাৎক্ষণিকভাবে বেশকিছু কোম্পানি সাড়া দেয়। তারা তাদের ফেরতযোগ্য শেয়ার আইসিবির বিও হিসাবে জমা দেয়।

আইসিবিকে আমরা যে টাকাটা দিচ্ছি, একটা এফডিআর ফরমেটে দিচ্ছি। এফডিআর-এর জন্য যে ইন্টারেস্ট, আইসিবি সেটা দেবে। আমাদের বোর্ড মনে করে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তহবিল সুরক্ষা করা। সে জন্য আমরা ঝুঁকি নির্ণয় না করে সরাসরি ক্যাপিটাল মার্কেটে যাওয়াটাকে ঠিক মনে করিনি- বলেন সিএমএসএফ চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমরা যখন গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করলাম, তখন ব্যক্তি খাতের বেশি কিছু অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ করতে চেয়েছিল। আমার সবাই মিলে চেয়েছিলাম আইসিবিই হোক প্রথম উদ্যোগের পার্টনারশিপ। এ কারণে আমরা আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেই।

সিএমএসএফ থেকে কতজন বিনিয়োগকারীকে দাবি করা লভ্যাংশের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে? এমন আর এক প্রশ্নের উত্তরে নজিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রায় ১ হাজার ১৭০ জন বিনিয়োগকারীকে সেবা (লভ্যাংশের অর্থ ফেরত দেওয়া) দিতে পেরেছি। এর মধ্যে নগদ ক্লেমই বেশি। প্রায় ৭৫৫ জন। বোনাস শেয়ারের ক্লেইম আছে ৩৯১ জনের মতো। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সবাই যে টাকা নেওয়া বা শেয়ার নিতে চায় তা নয়। তাদের যে প্রতিক্রিয়া রয়েছে, আমরা এটাকে তাদের আস্থা হিসেবে দেখছি। তারা মনে করছেন, তাদের টাকা বা শেয়ার এ তহবিলে সুরক্ষিত থাকবে।

ব্যাংক কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক আপত্তি তুলেছিল। বিষয়টি এখন কি পর্যায়ে আছে? সাংবাদিকদের এমন আর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ মুখ্য সচিব বলেন, আমি সচিব মহোদয়কে চিঠি দিয়েছিলাম, আপনার মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে। তাদের কাছে সিএমএসএফ-এর এ টাকাগুলো বা শেয়ারগুলো আছে ফেরত দেন। তার পরেই তারা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দেন। কোম্পানিগুলো সরাসরি এসে প্রত্যেকেই সেই শেয়ার ও টাকা ফেরত দেন।

তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে- সিএমএসএফ-এর রুলস ও নিয়মানুযায়ী তাদের হাতে শেয়ার এবং ক্যাশ দেন। রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবিকে তারা নির্দেশ দেন। এটা হচ্ছে সিএমএসএফ-এর কার্যকারিতা এবং বাস্তবতার প্রতি সরকারের সমর্থন।

আরও পড়ুন: সূচকের পতনে লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি টাকা

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা অবস্থান নিয়েছিল, এটা আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশ ব্যাংক মানিমার্কেটের রেগুলেটর এবং বিএসইসি ক্যাপিটাল মার্কেটের রেগুলেটর। তারা এ বিষয়ে নিরন্তন আলাপ-আলোচনা করছেন। আমার ধারণা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কনসার্ন (সচেতন) ছিল যেন আমানতকারীদের কোনো ফান্ড এদিকে না আসে এবং বিএসইসির কনসার্ন ছিল বিনিয়োগকারীদের কোনো ফান্ড যাতে ঝুলন্ত অবস্থায় না থাকে। বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি হচ্ছে।

নজিবুর রহমান বলেন, সিএমএসএফ-এর বর্তমান যে আইনি কাঠামো আছে, তার আলোকে আমরা কাজ করছি। সেই কাজ করতে গিয়ে কেউ বাধা দিচ্ছেন না। সবাই বলছেন- এ ফান্ডটা খুবই দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির মধ্যে নিয়মিতভাবে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, পুরো পুঁজিবাজারের মঙ্গলের জন্য। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর তার যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তার দ্বারা আমরা অনুপ্রাণিত হচ্ছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু হবে।

দেশের পুঁজিবাজারে এক যুগের বেশি সময় ধরে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এমন বাজারে সিএমএসএফ-এর উদ্যোগে নতুন মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে আসার উদ্দেশ্য কি এবং সেই উদ্দেশ্য কতোটা সফল হয়েছে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যা থাকবে, হতাশ হবেন না। আগামী দিনের সম্ভাবনার জন্য কাজ করতে হবে। সবদিক বিবেচনায় আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটে অনেক সম্ভাবনা আছে। বিএসইসি চাচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পুঁজিবাজার গড়ে তোলার জন্য। এ জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তারা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। নতুন নতুন পণ্য তারা নিয়ে আসছেন। তার সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড জনপ্রিয় করার একটা বিষয় আছে।

ঢাকা/এসএ