০২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

সিলেট ও রাজশাহীর ভোটগ্রহণ শেষ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

শেষ হলো সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এখন চলছে গণনা। ভোট কেন্দ্রের বাইরে উৎসুক জনতা পছন্দের প্রার্থীর জয়ের খবর শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ দুই সিটির নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। সব কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

দুই সিটিতেই উৎসবমুখর পরিবেশে চলে নির্বাচন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল। কোথাও বড় ধরনের কোনও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে, বৃষ্টির কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ভোট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাইরে প্রার্থী ও সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছেন। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

সিলেট সিটিতে ইভিএমে হাতের আঙুলের ছাপ না মেলায় অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি ভোটাররা। একই সঙ্গে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ধীরগতি হওয়ায় ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সময় শেষ হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে ভােটারের লাইন থাকায় বাড়তি কিছু সময় ধরে চলে ভোটগ্রহণ।

এবার পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে। এখানে আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

মেয়র পদে অন্য প্রার্থী হলেন– ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা); জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া); মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট); মো. শাহজাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তাদের মধ্যে নির্বাচন বর্জন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। নির্বাচন বর্জন করলেও ইভিএমে তার প্রতীক ও নাম রয়েছে।

এখানে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হজ পালনে শুক্রবার সৌদি আরব যাচ্ছেন

অপরদিকে, রাজশাহী সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন।

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন– আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা); জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল); ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। এ ছাড়া ১০টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সিলেট ও রাজশাহীর ভোটগ্রহণ শেষ

আপডেট: ০৫:০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

শেষ হলো সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এখন চলছে গণনা। ভোট কেন্দ্রের বাইরে উৎসুক জনতা পছন্দের প্রার্থীর জয়ের খবর শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ দুই সিটির নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। সব কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

দুই সিটিতেই উৎসবমুখর পরিবেশে চলে নির্বাচন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল। কোথাও বড় ধরনের কোনও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে, বৃষ্টির কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ভোট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাইরে প্রার্থী ও সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছেন। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

সিলেট সিটিতে ইভিএমে হাতের আঙুলের ছাপ না মেলায় অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি ভোটাররা। একই সঙ্গে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ধীরগতি হওয়ায় ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সময় শেষ হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে ভােটারের লাইন থাকায় বাড়তি কিছু সময় ধরে চলে ভোটগ্রহণ।

এবার পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে। এখানে আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

মেয়র পদে অন্য প্রার্থী হলেন– ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা); জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া); মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট); মো. শাহজাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তাদের মধ্যে নির্বাচন বর্জন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। নির্বাচন বর্জন করলেও ইভিএমে তার প্রতীক ও নাম রয়েছে।

এখানে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হজ পালনে শুক্রবার সৌদি আরব যাচ্ছেন

অপরদিকে, রাজশাহী সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন।

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন– আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা); জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল); ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। এ ছাড়া ১০টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঢাকা/এসএ