স্থিতিশীলতা ফান্ডে টাকা স্থানান্তরে সময় চায় বিএপিএলসি
- আপডেট: ১২:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
- / ৪১৮৫ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা ফান্ডে টাকা স্থানান্তরের জন্য সময় চেয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফোরাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলী লিস্টেড কোম্পানীজ (বিএপিএলসি)। গত বুধবার (৭ জুলাই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই সময় চেয়েছে সংগঠনটি।
বিএপিএলসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই বিএসইসি এক নির্দেশনায় সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের কাছে থাকা (যদি থেকে থাকে) অদাবিকৃত লভ্যাংশ, অবণ্টিত লভ্যাংশ, আইপিওর রিফান্ড ইত্যাদি পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে জমা দেওয়ার কথা বলে।
বিএসইসির নির্দেশনায় টাকা জমা দেওয়ার জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বিএপিএলসি এই টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছে। তবে কতদিন সময় প্রয়োজন তা তারা উল্লেখ করেনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সংগঠনটির মতো, দুটি কারণে তাদেরকে বাড়তি সময় দেওয়া দরকার। প্রথমতঃ এই ধরনের টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডার/সিকিউরিটিহোল্ডার অথবা তাদের নমিনিকে ৩০ দিনের আগাম নোটিস দিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ আইপিওর সাবস্ক্রিপশনের টাকা রিটার্নের ক্ষেত্রে বহু বছরের পুরনো নথিপত্র ঘাঁটতে হবে। কিন্তু করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে প্রায় সব অফিস সীমিত পরিসরে চলছে বলে এই কাজগুলো ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করা বেশ দুরুহ। তাই তাদেরকে বাড়তি সময় দেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ, চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএসইসি আলোচিত ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২১ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি নোটিশিকেশন জারি করে বিএসইসি। গত ৩ মে অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৭২তম নিয়মিত কমিশন সভায় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (Capital Market Stabilization Fund) নামে ওই ফান্ড গঠন ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিধিমালা অনুমোদন করা হয়। গত ২৭ জুন এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
তহবিল থেকে বাজারের মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কেনাবেচা করা তথা বিনিয়োগের জন্য স্বল্প মেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। শেয়ার কেনাবেচা করতে গিয়ে যাতে তহবিলের কোনো লোকসান না হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে, থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুমান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অবণ্টিত ও অদাবিকৃত লভ্যাংশ ও রিফান্ডের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা/এনইউ
আরও পড়ুন:
- সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে মুন্নু ফেব্রিক্স
- সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে
- সাপ্তাহিক খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে বস্ত্র খাত
- কঠোর লকডাউনেও উত্থানে পুঁজিবাজার
- বিএসইসির সম্মতি পেল বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক
- রফতানি আদেশ বাতিলের শঙ্কা পোশাক মালিকদের
- অস্তিত্বহীন কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে ফিরিয়ে দেয়া হবে শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ
- এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে
- ‘ডিএসইর নতুন সফটওয়্যার পুঁজিবাজারের উন্নতিতে কাজে আসবে’
- পশুর হাটে জালনোট যাচাই করবে ব্যাংক
- দেশে করোনায় আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু
- ইভ্যালির অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুদক
- ফের লেনদেন বন্ধের পিপলস লিজিংয়ের মেয়াদ বাড়লো
- অবশেষে বাতিল হলো ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা