০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ন্যাশনাল ফিডের শেয়ার কারসাজি: হার্ডলাইনে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪২৯৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার যোগসাজশের মাধ্যমে কারসাজি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) সহ আরও তিনজনকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুসন্ধানে শেয়ার কারসাজির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সিএফও সহ আরও চারজনকে মোট ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। যা আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

অভিযুক্তরা হলেন- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সিএফও জাহিদুল আবেদিন, সিটি ব্রোকারেজের বিনিয়োগকারী মো. এ.জি. মাহমুদ, একই ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারী তার ভাই মো. সাইফ উল্লাহ এবং এসএম মোতাহারুল জামান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসইর তদন্তে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার কারসাজি করে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে দেখা যায়, প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৫ টাকা ৬০ পয়সা টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠানো হয়েছে। এতে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং এর সহযোগীরা ৬টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সিরিজ লেনদেন করে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স এবং মোহাম্মদ জাহিদুল আবেদীনের প্রত্যেকেরই দুটি করে বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল প্রত্যেকের একটি করে বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন: নীতিমালা লঙ্ঘন: আইসিবির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সিএফও মোহাম্মদ জাহিদুল আবেদিনকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে এজি মাহমুদকে তিন কোটি টাকা, এসএম মোতাহারুল জামানকে ১৭ লাখ টাকা ও সাইফ উল্লাহকে ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং এর সহযোগীরা ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ৪ কোটি ২০ লাখ কোটি টাকা রিয়েলাইজড গেইন করেছে এবং ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আন-রিয়েলাইজড গেইন করেছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৮৮ শতাংশ

এজি মাহমুদ, সাইফ উল্লাহ এবং এসএম মোতাহারুল জামানরা সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার দামকে প্রভাবিত করেছে। তারা শেয়ারটির দাম বাড়িয়ে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রিয়েলাইজড গেইন করেছে এবং আন-রিয়েলাইজড গেইন করেছে ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি দায়ে এজি মাহমুদ ও সাইফ উল্লাহ এ দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে ১০ লাখ টাকা ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ন্যাশনাল ফিডের শেয়ার কারসাজি: হার্ডলাইনে বিএসইসি

আপডেট: ০২:০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার যোগসাজশের মাধ্যমে কারসাজি করে দাম বাড়ানোর অভিযোগে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) সহ আরও তিনজনকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুসন্ধানে শেয়ার কারসাজির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সিএফও সহ আরও চারজনকে মোট ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। যা আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

অভিযুক্তরা হলেন- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সিএফও জাহিদুল আবেদিন, সিটি ব্রোকারেজের বিনিয়োগকারী মো. এ.জি. মাহমুদ, একই ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারী তার ভাই মো. সাইফ উল্লাহ এবং এসএম মোতাহারুল জামান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসইর তদন্তে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার কারসাজি করে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে দেখা যায়, প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৫ টাকা ৬০ পয়সা টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠানো হয়েছে। এতে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং এর সহযোগীরা ৬টি বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সিরিজ লেনদেন করে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স এবং মোহাম্মদ জাহিদুল আবেদীনের প্রত্যেকেরই দুটি করে বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল প্রত্যেকের একটি করে বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

আরও পড়ুন: নীতিমালা লঙ্ঘন: আইসিবির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের সিএফও মোহাম্মদ জাহিদুল আবেদিনকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে এজি মাহমুদকে তিন কোটি টাকা, এসএম মোতাহারুল জামানকে ১৭ লাখ টাকা ও সাইফ উল্লাহকে ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং এর সহযোগীরা ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ৪ কোটি ২০ লাখ কোটি টাকা রিয়েলাইজড গেইন করেছে এবং ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আন-রিয়েলাইজড গেইন করেছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ৮৮ শতাংশ

এজি মাহমুদ, সাইফ উল্লাহ এবং এসএম মোতাহারুল জামানরা সিরিজ লেনদেনের মাধ্যমে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার দামকে প্রভাবিত করেছে। তারা শেয়ারটির দাম বাড়িয়ে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রিয়েলাইজড গেইন করেছে এবং আন-রিয়েলাইজড গেইন করেছে ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি দায়ে এজি মাহমুদ ও সাইফ উল্লাহ এ দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে ১০ লাখ টাকা ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

ঢাকা/এসএ