০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

‘পুঁজিবাজার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৫০ বার দেখা হয়েছে

বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।

তাদের অভিমত, বাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এই ক্রান্তিকালে বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ভালো কোম্পানি বাছাই করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে সংকট কাটিয়ে যখন বাজার ভালো হবে, তখন ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০২৩’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন মন্তব্য করেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক এই এক্সপোর আয়োজন করছে। আগামী ৫-৭ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এই এক্সপো।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ, হয়তো উনাদের কাছে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি থাকে। অথবা বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকে। অথবা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিনিয়োগ করেন। তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হন।

দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের নেতিবাচক প্রবণতার ক্ষেত্রে কিছুটা পলিসিগত দিক থেকে আমরা মনে করি, সমস্যা আছে। সেই পলিসিগত বিষয়গুলো যতক্ষণ অ্যাড্রেস করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুশৃঙ্খল বা শক্তিশালী পুঁজিবাজার দেখবো, সেই প্রত্যাশা করতে পারি না। পলিসি লেভেলেও কাজ করার আছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, বাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। আপনারা সাক্ষী আছেন, ২০২০ সালের প্রথমদিকে বাজারের যে করুণ অবস্থা হয়েছিল, ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছিল, তখন কি কেউ ভাবতে পেরেছিলো ২০২০ সালের ক্লোজিং এত ভালো হবে? ২০২০ ও ২০২১ সালে পুঁজিবাজার কিন্তু যথেষ্ঠ ভালো অবস্থানে ছিল। আজ আমরা যে অবস্থায় আছি, সেটা নিয়ে হতাশ না হয়ে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। গঠনমূলক চিন্তা করা উচিত।

আরও পড়ুন: নাসডাকের সাথে ডিএসইর আরও ৩ বছরের চুক্তি

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আপনারা সবাই জানেন আমাদের শেয়ারবাজারে খুবই ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। এ সময়টাতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সামনে ভালো দিনের প্রত্যাশায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের যে বিনিয়োগ আছে, সে বিষয়ে খুব বেশি পরিমাণে মনোযোগী হতে হবে। যে কোম্পানিগুলো আমরা নির্বাচন করবো, সেই নির্বাচন হতে হবে ভালো কোম্পানি। যদিও এখন বিনিয়োগ আটকে আছে, তারপরও একটু ভালো সময় আসলে যাতে আমরা রিকভারি করতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। আপনারা জানেন, শেয়ারবাজার খুবই সেনসেটিভ জায়গা। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। এ ধরনের এক্সপোতে বাজারের ভালো-খারাপ, সম্ভাবনা, সামনের দিনগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রোকারেজ হাউস থেকে শুরু করে যারা এখানে আসেন, তারা উপকৃত হন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

‘পুঁজিবাজার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে’

আপডেট: ০৭:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।

তাদের অভিমত, বাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এই ক্রান্তিকালে বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ভালো কোম্পানি বাছাই করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে সংকট কাটিয়ে যখন বাজার ভালো হবে, তখন ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০২৩’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন মন্তব্য করেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক এই এক্সপোর আয়োজন করছে। আগামী ৫-৭ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এই এক্সপো।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ, হয়তো উনাদের কাছে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি থাকে। অথবা বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকে। অথবা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিনিয়োগ করেন। তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হন।

দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের নেতিবাচক প্রবণতার ক্ষেত্রে কিছুটা পলিসিগত দিক থেকে আমরা মনে করি, সমস্যা আছে। সেই পলিসিগত বিষয়গুলো যতক্ষণ অ্যাড্রেস করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুশৃঙ্খল বা শক্তিশালী পুঁজিবাজার দেখবো, সেই প্রত্যাশা করতে পারি না। পলিসি লেভেলেও কাজ করার আছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, বাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। আপনারা সাক্ষী আছেন, ২০২০ সালের প্রথমদিকে বাজারের যে করুণ অবস্থা হয়েছিল, ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছিল, তখন কি কেউ ভাবতে পেরেছিলো ২০২০ সালের ক্লোজিং এত ভালো হবে? ২০২০ ও ২০২১ সালে পুঁজিবাজার কিন্তু যথেষ্ঠ ভালো অবস্থানে ছিল। আজ আমরা যে অবস্থায় আছি, সেটা নিয়ে হতাশ না হয়ে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। গঠনমূলক চিন্তা করা উচিত।

আরও পড়ুন: নাসডাকের সাথে ডিএসইর আরও ৩ বছরের চুক্তি

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আপনারা সবাই জানেন আমাদের শেয়ারবাজারে খুবই ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। এ সময়টাতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সামনে ভালো দিনের প্রত্যাশায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের যে বিনিয়োগ আছে, সে বিষয়ে খুব বেশি পরিমাণে মনোযোগী হতে হবে। যে কোম্পানিগুলো আমরা নির্বাচন করবো, সেই নির্বাচন হতে হবে ভালো কোম্পানি। যদিও এখন বিনিয়োগ আটকে আছে, তারপরও একটু ভালো সময় আসলে যাতে আমরা রিকভারি করতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। আপনারা জানেন, শেয়ারবাজার খুবই সেনসেটিভ জায়গা। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। এ ধরনের এক্সপোতে বাজারের ভালো-খারাপ, সম্ভাবনা, সামনের দিনগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রোকারেজ হাউস থেকে শুরু করে যারা এখানে আসেন, তারা উপকৃত হন।

ঢাকা/এসএ