০২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

ভ্যাট ফাঁকি ধরতে মাঠে ৪ গোয়েন্দা টিম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • / ৪১৫৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকা ও এর বাইরের এলাকার বিভিন্ন বিপণীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি ধরতে মাঠে নেমেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চার জরিপ টিম।

সোমবার (২৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গণমাধ্যমকে  বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর আজ চারটি জরিপ টিম গঠন করেছে। এই জরিপ টিম রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিপণীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করে ভ্যাট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। 

ভ্যাট গোয়েন্দার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চারটি জরিপ টিম ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে এই জরিপ শুরু করেছে। জরিপ দলের কর্মকর্তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

টিমগুলো হলো- ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মালেকিন নাসিরের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। এছাড়া উপপরিচালক তানভীর আহমেদ, সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালিন এবং সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলাম পৃথক তিনটি টিম।

টিমগুলো ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শিত আছে কি-না, বিক্রিত পণ্য বা সেবার প্রকৃতি, টিন (করপ্রদান শনাক্তকারী নম্বর), দোকানের আয়তন ও ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা ও তাদের আনুমানিক বেতন, মাসিক গড়ে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ, জুলাই ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ১০ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে কি-না এবং মাসভিত্তিক ভ্যাটের পরিমাণের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে।

সূত্র জানায়, মাঠ পর্যায়ের এসব তথ্য সংগ্রহের পর স্থানীয় ভ্যাট অফিস এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের সঙ্গে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। এই জরিপের মাধ্যমে যারা ভ্যাটের আওতাভুক্ত নয়, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। একইসঙ্গে সঠিক পরিমাণ ভ্যাট নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নিবন্ধিতদের আইনের বিধান সম্পর্কে অবহিত করবে এসব টিম। এই জরিপ করার সময় সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। 

ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রির সময়ে ক্রেতাকে যথাযথভাবে মূসক-৬.৩ তে চালান প্রদান এবং ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া ভ্যাট মাস শেষে ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে রিটার্ন দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট, জরিমানা ও সুদসহ আদায় করা হচ্ছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল বিভিন্ন সময়ে মাঠে কাজ করছে এবং কোনো অভিযোগ এলে তা অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

ভ্যাট ফাঁকি ধরতে মাঠে ৪ গোয়েন্দা টিম

আপডেট: ০৮:০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঢাকা ও এর বাইরের এলাকার বিভিন্ন বিপণীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি ধরতে মাঠে নেমেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চার জরিপ টিম।

সোমবার (২৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গণমাধ্যমকে  বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর আজ চারটি জরিপ টিম গঠন করেছে। এই জরিপ টিম রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিপণীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করে ভ্যাট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। 

ভ্যাট গোয়েন্দার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চারটি জরিপ টিম ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে এই জরিপ শুরু করেছে। জরিপ দলের কর্মকর্তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

টিমগুলো হলো- ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মালেকিন নাসিরের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। এছাড়া উপপরিচালক তানভীর আহমেদ, সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালিন এবং সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলাম পৃথক তিনটি টিম।

টিমগুলো ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শিত আছে কি-না, বিক্রিত পণ্য বা সেবার প্রকৃতি, টিন (করপ্রদান শনাক্তকারী নম্বর), দোকানের আয়তন ও ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা ও তাদের আনুমানিক বেতন, মাসিক গড়ে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ, জুলাই ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ১০ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে কি-না এবং মাসভিত্তিক ভ্যাটের পরিমাণের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে।

সূত্র জানায়, মাঠ পর্যায়ের এসব তথ্য সংগ্রহের পর স্থানীয় ভ্যাট অফিস এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের সঙ্গে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। এই জরিপের মাধ্যমে যারা ভ্যাটের আওতাভুক্ত নয়, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। একইসঙ্গে সঠিক পরিমাণ ভ্যাট নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নিবন্ধিতদের আইনের বিধান সম্পর্কে অবহিত করবে এসব টিম। এই জরিপ করার সময় সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। 

ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রির সময়ে ক্রেতাকে যথাযথভাবে মূসক-৬.৩ তে চালান প্রদান এবং ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া ভ্যাট মাস শেষে ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে রিটার্ন দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট, জরিমানা ও সুদসহ আদায় করা হচ্ছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল বিভিন্ন সময়ে মাঠে কাজ করছে এবং কোনো অভিযোগ এলে তা অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: