০২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারে সোনালী ব্যাংকের দুই হিসাব বন্ধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪২১৫ বার দেখা হয়েছে

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে মিয়ানমারে। এসব হিসাবে লেনদেন বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকায় মিয়ানমারের এ দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে হিসাব দুটি জব্দ রয়েছে।

ব্যাংক দুটি হলো মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক (এমএফটিবি) ও মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (এমআইসিবি)। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক দুটির ওপর গত জুনে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (১৬ আগস্ট) এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, মিয়ানমারের মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও মিয়ানমার ফরেইন ট্রেড ব্যাংকে হিসাব রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। এর মধ্যে একটি হিসাবে এক লাখ ও অন্যটিতে এক মিলিয়ন পাউন্ড আছে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুটি হিসাবই ফ্রিজ (জব্দ) আছে।

অপরদিকে মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকের ১ লাখ ডলার এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে সোনালী ব্যাংকে।

তিনি বলেন, আপাতত দুটি হিসাবে কোনো লেনদেন হবে না। আমাদের অর্থও ফ্রিজ থাকবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানিয়েছি, এখন তারা বলবে কী করব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, চিঠির বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয় কমিটিতে সাত প্রস্তাব অনুমোদন

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের হিসাবের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলা হয়, মিয়ানমারের ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংক ও কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি লেনদেন সমস্যা হয়। কারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যাংকগুলোর সঙ্গেই বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং ছিল এবং এগুলোতেই বেশি লেনদেন হতো, এখন তা করা যাচ্ছে না। রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন ব্যক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারে সোনালী ব্যাংকের দুই হিসাব বন্ধ

আপডেট: ১২:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে মিয়ানমারে। এসব হিসাবে লেনদেন বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকায় মিয়ানমারের এ দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে হিসাব দুটি জব্দ রয়েছে।

ব্যাংক দুটি হলো মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক (এমএফটিবি) ও মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (এমআইসিবি)। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক দুটির ওপর গত জুনে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (১৬ আগস্ট) এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, মিয়ানমারের মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও মিয়ানমার ফরেইন ট্রেড ব্যাংকে হিসাব রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। এর মধ্যে একটি হিসাবে এক লাখ ও অন্যটিতে এক মিলিয়ন পাউন্ড আছে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুটি হিসাবই ফ্রিজ (জব্দ) আছে।

অপরদিকে মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকের ১ লাখ ডলার এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে সোনালী ব্যাংকে।

তিনি বলেন, আপাতত দুটি হিসাবে কোনো লেনদেন হবে না। আমাদের অর্থও ফ্রিজ থাকবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানিয়েছি, এখন তারা বলবে কী করব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, চিঠির বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয় কমিটিতে সাত প্রস্তাব অনুমোদন

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের হিসাবের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলা হয়, মিয়ানমারের ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংক ও কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি লেনদেন সমস্যা হয়। কারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যাংকগুলোর সঙ্গেই বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং ছিল এবং এগুলোতেই বেশি লেনদেন হতো, এখন তা করা যাচ্ছে না। রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন ব্যক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকা/টিএ