০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লেনদেনের ৭ শতাংশ সালভো কেমিক্যালের দখলে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৯৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আজকের লেনদেন। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। ৬১৬ কোটি টাকা লেনদেনের আজকের এই দিনে মোট লেনদেনের ৭ শতাংশ সালভো কেমিক্যালের দখলে রয়েছে। এদিন টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা মোট লেনদেনের ৭.৪৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, মঙ্গলবার দিনশেষে সালভো কেমিক্যালের শেয়ার সর্বশেষ ৬৬.৫০ টাকায় লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬১.৯০ টাকা থেকে ৬৭.৫০ টাকায় ওঠানামা করে। মোট ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার ২৯২টি শেয়ার ৩ হাজার ২১৭ বার হাতবদল হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৬.৮০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় ওঠানামা করেছে।

ডিএসই’র তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি মাত্র ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এর আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ১ শতাংশ। এছাড়া কোম্পানিটির মোট ঋণের পরিমাণ ৯৩ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ৩৪ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা স্বল্পমেয়াদী এবং ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২) সালভো কেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৬৩ টাকা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০.৫৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওএফসিপিএস) ১.২৮ টাকা থেকে ০.২৫ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৫.১৬ টাকায় ওঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: মাসের ব্যবধানে শেয়ার শূন্য ১২ হাজার বিও

আয় বাড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয় বাড়ায় কোম্পানিটি মুনাফা বড়েছে। তবে পরিচালন ব্যয় ও সাপ্লায়ারদের মূল্য নগদে করায় নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো এর আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

২০১১ সালে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। ৬৫ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের পরিমাণ ৬ কোটি ৫০ লাখ ২২ হাজার ৭৯৩টি। এরমধ্যে চলতি বছরের অক্টোবর শেষে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ২২.১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮.৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬৬.০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

অর্থ্যাৎ কোম্পানিটি উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিত শেয়ার ধারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

লেনদেনের ৭ শতাংশ সালভো কেমিক্যালের দখলে

আপডেট: ০৪:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আজকের লেনদেন। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। ৬১৬ কোটি টাকা লেনদেনের আজকের এই দিনে মোট লেনদেনের ৭ শতাংশ সালভো কেমিক্যালের দখলে রয়েছে। এদিন টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা মোট লেনদেনের ৭.৪৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, মঙ্গলবার দিনশেষে সালভো কেমিক্যালের শেয়ার সর্বশেষ ৬৬.৫০ টাকায় লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬১.৯০ টাকা থেকে ৬৭.৫০ টাকায় ওঠানামা করে। মোট ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার ২৯২টি শেয়ার ৩ হাজার ২১৭ বার হাতবদল হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৬.৮০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় ওঠানামা করেছে।

ডিএসই’র তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি মাত্র ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এর আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ১ শতাংশ। এছাড়া কোম্পানিটির মোট ঋণের পরিমাণ ৯৩ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ৩৪ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা স্বল্পমেয়াদী এবং ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২) সালভো কেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৬৩ টাকা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০.৫৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওএফসিপিএস) ১.২৮ টাকা থেকে ০.২৫ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৫.১৬ টাকায় ওঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: মাসের ব্যবধানে শেয়ার শূন্য ১২ হাজার বিও

আয় বাড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয় বাড়ায় কোম্পানিটি মুনাফা বড়েছে। তবে পরিচালন ব্যয় ও সাপ্লায়ারদের মূল্য নগদে করায় নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো এর আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

২০১১ সালে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। ৬৫ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের পরিমাণ ৬ কোটি ৫০ লাখ ২২ হাজার ৭৯৩টি। এরমধ্যে চলতি বছরের অক্টোবর শেষে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ২২.১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮.৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬৬.০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

অর্থ্যাৎ কোম্পানিটি উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিত শেয়ার ধারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে।

ঢাকা/এইচকে