০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

৩৩ শতাংশ আয় কমেছে এনসিসি ব্যাংকের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১
  • / ৪২৫৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে।

বুধবার (১২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৫৫ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ০.৮২ টাকা। সে হিসাবে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.২৭ টাকা বা ৩৩ শতাংশ।

২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.৪৬ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস ছিলো ২২.১৫ টাকা।

ডিএসই’র তথ্যানুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের এ কোম্পানিটি ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৪৫ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার তিন কোটি তিন লাখ টাকা।

তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটি  ধরাবাহিক ডিভিডেন্ড প্রদান করলেও আলোচ্য সময়ে স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানের হার মাত্রাধিক। তালিকাভুক্তির ২০ বছরে ৭ বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ডসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

এছাড়াও ব্যাংকটি ২০০১ সালে ১২ শতাংশ স্টক, ০২ সালে ১৫ শতাংশ স্টক, ০৩ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ০৪ সালে ৩০ শতাংশ, ০৫ সালে ১০ শতাংশ স্টক,  ০৬ সালে ১২.৫০ শতাংশ স্টক, ০৭ সালে ৩০ শতাংশ স্টক, ০৮ সালে ৩০ শতাংশ স্টক, ০৯ সালে ৪৭ শতাংশ স্টক, ১০ সালে ৩২ শতাংশ স্টক, ১১ সালে ১৭ শতাংশ স্টকও ১০ শতাংশ ক্যাশ, ১২ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ১৩ সালে ৫ শতাংশ স্টকও ৬ শতাংশ ক্যাশ, ১৪ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ১৫ সালে ১২.৭৫ শতাংশ ক্যাশ, ১৬ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ, ১৭ সালে ১৩ শতাংশ ক্যাশ, ১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ ক্যাশ, ১৯ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ স্টক এবং ২০২০ সালে ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ১৫ পয়সা।

গত বছর একই সময়ে ইপিএস এর পরিমাণ ছিলো ২ টাকা ২৬ পয়সা ও এনএভি ছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা।

এই ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ আগস্ট ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ জুন।

ব্যাংকটির শেয়ার সর্বশেষ ১৪.৯০ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৫০ টাকা থেকে ১৫ টাকায় ওঠা-নামা করেছে। মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির মোট ৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮১টি শেয়ারের মধ্যে ৩.৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১.০৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে মাত্র ০.৫৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪০.৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা/জেএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

৩৩ শতাংশ আয় কমেছে এনসিসি ব্যাংকের

আপডেট: ০৯:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে।

বুধবার (১২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৫৫ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ০.৮২ টাকা। সে হিসাবে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.২৭ টাকা বা ৩৩ শতাংশ।

২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.৪৬ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস ছিলো ২২.১৫ টাকা।

ডিএসই’র তথ্যানুযায়ী, ব্যাংকিং খাতের এ কোম্পানিটি ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৪৫ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার তিন কোটি তিন লাখ টাকা।

তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটি  ধরাবাহিক ডিভিডেন্ড প্রদান করলেও আলোচ্য সময়ে স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানের হার মাত্রাধিক। তালিকাভুক্তির ২০ বছরে ৭ বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সর্বশেষ সমাপ্ত বছরে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ডসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

এছাড়াও ব্যাংকটি ২০০১ সালে ১২ শতাংশ স্টক, ০২ সালে ১৫ শতাংশ স্টক, ০৩ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ০৪ সালে ৩০ শতাংশ, ০৫ সালে ১০ শতাংশ স্টক,  ০৬ সালে ১২.৫০ শতাংশ স্টক, ০৭ সালে ৩০ শতাংশ স্টক, ০৮ সালে ৩০ শতাংশ স্টক, ০৯ সালে ৪৭ শতাংশ স্টক, ১০ সালে ৩২ শতাংশ স্টক, ১১ সালে ১৭ শতাংশ স্টকও ১০ শতাংশ ক্যাশ, ১২ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ১৩ সালে ৫ শতাংশ স্টকও ৬ শতাংশ ক্যাশ, ১৪ সালে ১০ শতাংশ স্টক, ১৫ সালে ১২.৭৫ শতাংশ ক্যাশ, ১৬ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ, ১৭ সালে ১৩ শতাংশ ক্যাশ, ১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ ক্যাশ, ১৯ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ স্টক এবং ২০২০ সালে ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২ টাকা ১৫ পয়সা।

গত বছর একই সময়ে ইপিএস এর পরিমাণ ছিলো ২ টাকা ২৬ পয়সা ও এনএভি ছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা।

এই ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ আগস্ট ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ জুন।

ব্যাংকটির শেয়ার সর্বশেষ ১৪.৯০ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৫০ টাকা থেকে ১৫ টাকায় ওঠা-নামা করেছে। মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির মোট ৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮১টি শেয়ারের মধ্যে ৩.৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১.০৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে মাত্র ০.৫৫ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪০.৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা/জেএইচ