০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

খুলছে না ঢাবির আবাসিক হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঈদের পর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • / ৪১৭২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফা ছুটি বাড়ানোর পর আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কথা রয়েছে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা।

এরমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে কি না তা ঠিক করতে বুধবার (৫ মে) বৈঠকে বসেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা।

বৈঠকের একাধিক ভিসি বর্তমান পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। ফলে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ মে  আবাসিক হল খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ভিসি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী জুন থেকে শুরু হওযা বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ সালের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পূর্ব নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

বৈঠকে উপস্থিত উপাচার্য পরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আমাদের উপাচার্যদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত পূর্বে সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন বাড়ানোর পর আমাদের উপাচার্যদের মধ্যে পুনরায় বৈঠক হবে। তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এছাড়া সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টিও রয়েছে। লকডাউন পুনরায় বাড়ে কিনা সেটিও বিবেচনায় রয়েছে।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতি, টিকা কার্যক্রমসহ করোনাকালীন শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি তাও নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ মে)।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। তার আগে অবশ্যই করোনা টিকা নিতে হবে। হল খোলার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকার ব্যবস্থা করা হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

খুলছে না ঢাবির আবাসিক হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঈদের পর

আপডেট: ০৩:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফা ছুটি বাড়ানোর পর আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কথা রয়েছে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার কথা।

এরমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে কি না তা ঠিক করতে বুধবার (৫ মে) বৈঠকে বসেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা।

বৈঠকের একাধিক ভিসি বর্তমান পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। ফলে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ মে  আবাসিক হল খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ভিসি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী জুন থেকে শুরু হওযা বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ সালের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পূর্ব নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

বৈঠকে উপস্থিত উপাচার্য পরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আমাদের উপাচার্যদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত পূর্বে সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন বাড়ানোর পর আমাদের উপাচার্যদের মধ্যে পুনরায় বৈঠক হবে। তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এছাড়া সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টিও রয়েছে। লকডাউন পুনরায় বাড়ে কিনা সেটিও বিবেচনায় রয়েছে।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতি, টিকা কার্যক্রমসহ করোনাকালীন শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি তাও নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ মে)।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। তার আগে অবশ্যই করোনা টিকা নিতে হবে। হল খোলার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, আবাসিক হলের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকার ব্যবস্থা করা হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: